Answered 2 years ago
চ্যাটজিপিটি আপনার ডিজিটাল সহকারী হিসেবে কাজ করবে। যেমন একজন লেখক হয়তো কোনো একটা বিষয়ে নিবন্ধ লিখবেন। এখন চ্যাটজিপিটিকে বললে সে লিখে দেবে। কত শব্দের মধ্যে লিখতে হবে, কত অনুচ্ছেদ হবে, সবই বলে দেওয়া যাবে।
একজন প্রোগ্রামার হয়তো একটা প্রকল্পে কাজ করছেন। কিছু সংকেত বা কোড লেখার ব্যপারে তাঁর সাহায্য দরকার। তিনি সহজেই চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে কোড লিখে নিতে পারবেন। যেমন সিএসভি ফাইল পড়ার জন্য পাইথনে কোড লিখতে হবে। চ্যাটজিপিটিকে বললে কীভাবে একটা সিএসভি ফাইল পড়া (রিড) যায়, পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষায় সেটির কোড লিখে দেবে। প্রোগ্রামিংয়ের কোনো কনসেপ্ট না বুঝলে তা–ও সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিতে পারবে।
জরুরি কোনো সাহায্য লাগলে তা–ও পাওয়া যাবে চ্যাটজিপিটির কাছে। যেমন দুর্ঘটনায় পড়ে কারও শরীর থেকে রক্তপাত হচ্ছে। সে যদি জানতে চায়, কীভাবে রক্তপাত বন্ধ করা সম্ভব, চ্যাটজিপিটি উপায়গুলো বলে দেবে।
কেউ চাইলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে গেমও খেলতে পারবে। লুডু বা যেকোনো লেখা বা টেক্সটভিত্তিক কোনো গেম খেলা যাবে।
বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি ও ফ্রিল্যান্সার যেহেতু অ্যাডমিন সাপোর্ট, গ্রাহকসেবা এবং কল সেন্টারের সেবা দিয়ে আসছে, তাদের চাকরির বাজার ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসবে। আবার সফটওয়্যার তৈরির কাজ যাঁরা করছেন, তাঁদের কাজের পরিধি বাড়বে। যেহেতু এই চ্যাটজিপিটি এবং এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার জনপ্রিয় হচ্ছে, তাই এগুলো ব্যবহার করে নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি করা যাবে। বাজারে এ ধরনের অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের চাহিদা তৈরি হবে। তাই কেউ যদি নিজেকে এসব বিষয়ে দক্ষ করে তোলেন, তাহলে ভবিষ্যতে ভালো করতে পারবেন।
Collected From Prothom Alo Newspaper
Sazib publisher