Answered 2 years ago
বাংলাদেশের কোন এক দূরবর্তী গ্রামের ছেলে মফিজ, বাংলাদেশ বিমানের পাইলট। মাঝে মাঝে সে গ্রামে বেড়াতে যায়। কিছুদিন থেকে, আবার ঢাকায় ফিরে যায়। কখনো গ্রামের কিছু বন্ধু ঢাকায় গেলে, মফিজের সাথে দেখা করে। মফিজের ওই বন্ধুরা কখনো বিমানে চড়ে নি। তারা মফিজকে এয়ারপোর্টে যেতে দেখে।
মফিজের বন্ধুরা ঢাকা শহরে অনেক মানুষ দেখেছে। কত মানুষকে কত জায়গায় যেতে দেখে। অথচ, মফিজ শুধুমাত্র এয়ারপোর্টে যায়।
এসব দেখেই, গ্রামের বন্ধুরা বলে - মফিজের দৌড় এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।
মফিজ সারা দুনিয়া ভ্রমণ করে, সকল বড় শহরে যাওয়া আসা করেছে। মফিজ এমন অনেক জায়গায় গিয়েছে, যেখানে তার গ্রামের বন্ধুরা কোনদিনই যেতে পারবে না। অথচ, সেই বন্ধুরা বলে - মফিজের দৌড় এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।
এটা মফিজের সীমাবদ্ধতা নয়। এটা হলো ওর গ্রাম্য বন্ধুদের সীমাবদ্ধতা। মফিজ এয়ারপোর্ট পার হয়ে, বিমান চালিয়ে দূরদেশে চলে যায়। তার বন্ধুরা এয়ারপোর্ট পার হতে পারে না। এয়ারপোর্টের পরে কি আছে, সেটা ওই গ্রাম্য বন্ধুরা জানতেই পারে না। তারা এয়ারপোর্টের গেট পর্যন্ত গিয়েই থেমে যায়। আসলে, মফিজের গ্রাম্য বন্ধুদের দৌড় এয়ারপোর্ট পর্যন্ত। মফিজ এয়ারপোর্ট পার হয়ে, অনেক দূরে চলে যায়।
যারা বলে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, তারা মফিজের গ্রাম্য বন্ধুদের মতন হতভাগা। মোল্লা একদিন মসজিদ পার হয়ে, জান্নাতে চলে যাবে। ওই হতভাগারা জান্নাতে যেতে পারবে না। বিদেশে যেতে হলে, এয়ারপোর্টে যেতে হয়। জান্নাতে যেতে হলে, মসজিদে যেতে হয়। জান্নাতে যাওয়া মানুষ, অবশ্যই মসজিদ পর্যন্ত দৌড়ায়।
দ্রষ্টব্য: শুধুমাত্র মসজিদে গেলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে না। সেটার সাথে সৎকর্মও লাগবে। তবে, মসজিদে না গেলে, জান্নাতে যাওয়া যাবে না।
Raha publisher