Answered 2 years ago
সাধারণ হিন্দু, ভারতীয় নাগরিক হিসেবে লেখা।
মুসলিমরা কি করেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। তাতে আমাদের কি?
খ্রীষ্টানরা রবিবার গীর্জার মাসে (mass) যোগ দেন, তাতে আমাদের কি?
শিখরা তাঁদের মত, বৌদ্ধরা তাঁদের মত, জৈনরা নিজেদের মত কাজ করেন… তাতেই বা আমাদের কি?
আমি হনুমান চালিসা প্রত্যেক মঙ্গলবার ও শনিবার পাঠ করি, কখন মন্দিরে বসে, কখনো ঘরের কোণে। সেটা জড়ো হয়ে একগাদা লোকের মাঝখানে বসে করতে হবে কেন?
যে কোন শনিবার যে কোন মন্দিরএ চলে যান, ভিড় দেখেছেন? সেটা স্বতঃস্ফুর্ত.. আয়োজিত নয়।
গড়ে কত কোটি হিন্দু সপ্তাহের বিভিন্ন দিন- মঙ্গল, শনি, শুক্র, সোম, বৃহস্পতিবার বাড়িতে পূজা করেন, নিরামিষ খান বা উপবাস রাখেন?
কত লক্ষ সনাতনধর্মী কেউ নীল ষষ্ঠী, কেউ শ্রাবণ মাস, কেউ নবরাত্রি, কেউ কার্তিক মাসে সবরিমালা উপলক্ষ্যে উপবাস, নানারকম নিয়ম মেনে চলেন সেই হিসাব কে রাখে?
যে যাঁর নিজের বিশ্বাসানুসারে নিজপদ্ধতি মেনে ঈশ্বর খুঁজছেন… কারও মত করে খুঁজতে হবে কেন?
আচ্ছা ঈশ্বর তো সকল কণায়, সবার মধ্যে আছেন, সব বোঝেন, জানেন… তবে কেউ ভক্তিসহকারে বাড়ির ভিতরে পটের সামনে বসে বাংলায় ডাকুন, কেউ বাসের ভিতর ভিড়ের মধ্যে রূদ্রাক্ষ আঁকড়ে তামিলে ডাকুন বা কেউ সংস্কৃতে দেবালয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করে ডাকুন…. ঈশ্বর শুনবেন না কেন?
সমাজ হিসেবে নিয়ম করে একসাথে সৎসঙ্গ করা, পূজা করা, উৎসব পালন করা এগুলি অত্যন্ত ভালো জিনিস, কিন্তু তা ঐচ্ছিক। আমি করি, কিন্তু সেটা অন্তর থেকে চাই বলে… জোর করে ভক্তি হয় না।
Hindus don’t need to emulate anyone. As Indians we need to improve ourselves and build a country with strong law and order systems such that any discord is settled swiftly, lawfully and with finality.
হিন্দুদের অন্যদের নকল করার প্রয়োজন নাই। ভারতীয় হিসেবে আমাদের এমন একটি দেশ গঠনের প্রয়োজন যেখানে বিচারব্যবস্থা ও আইনব্যবস্থা হবে শক্তিশালী… যাতে যে কোন উপদ্রব বা সমস্যার ন্যায্য, শীঘ্র ও অবিসংবাদিত সমাধান সুষ্ঠুভাবে নাগরিকদের প্রদান করা যায়।
জয় হিন্দ।
jakirrana publisher