Answered 2 years ago
ঘটনা #১. নোবেল পুরস্কার।
1997 সালে, শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতা সন্তু লারমার সাথে একটি বিতর্কিত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে, তিনি পার্বত্য অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের বিনিময়ে বিপুল সংখ্যক জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করতে এবং তাদের অস্ত্র রাখতে সক্ষম হন। তার এই তথাকথিত 'কৃতিত্ব' থেকে, তিনি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং খ্যাতি আশা করেছিলেন। যাই হোক, ১৯৯৮ সালে তিনি ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পান।
ক্লিনটন পরিবারের সাথে ডাঃ মোঃ ইউনুসের সুসম্পর্ক ছিল। এর ফলে, নোবেল পাবার ব্যাপারে তাঁর লবিং অনেক শক্তিশালী ছিল এবং তিনি সঠিক রাস্তায় লবিং করতে পেরেছিলেন। ফলে, ডঃ ইউনুস 2006 সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন।
সে সময়, শেখ হাসিনা হয় নোবেল পুরস্কারের আশায় লবিং করছিলেন; অথবা ডঃ মোঃ ইউনুস যে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাবেন, সেটা তার মাথাতেই আসেনি। আর, আমরা সবাই জানি যে নোবেল পুরস্কার-এর মর্যাদা ইউনেস্কো পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি।
সেখানেই শত্রুতার শুরু।
ঘটনা #২. ডঃ মোঃ ইউনুসের ভারতের কোপানলে পড়া।
২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন সরকার এবং ডঃ মোঃ ইউনুসকে নিয়ে ভারতের সাথে আমেরিকার চরম বিরোধ চলছিল।
আমেরিকা চাচ্ছিল ডঃ মোঃ ইউনুসকে রাজনীতিতে নিয়ে আসতে। কিন্তু, ভারত ছিল এর ঘোর বিরোধী। কারণ, ভারতের পরিকল্পনা ছিল হাসিনাকে নিয়ে এসে জামাত এবং বি,এন,পি, কে বিলুপ্ত করা। ভারতের ধারণা ছিল ডঃ মোঃ ইউনুসকে রাজনীতিতে আসতে দিলে ভারত জামাত এবং বি,এন,পি, কে বিলুপ্ত করতে পারবে না। কারণ, ভারতের মতে ডঃ মোঃ ইউনুস ছিলেন বি,এন,পি, ঘেঁষা লোক।
কাজেই, ডঃ মোঃ ইউনুসের ব্যাপারে হাসিনার নিজের যতটানা তৎপরতা ছিল, ভারতের চাপের পরিমাণ ছিল তার চেয়েও বেশি।
indilaindira publisher