Answered 2 years ago
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, দোহারের বেথুয়া গ্রামের সালমান ফজলুর রহমানের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি ৬০ লাখ ৫ হজার ৫৬০ টাকা।
তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ১৩৬ টাকা আছে বন্ড, ঋণপত্র, তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে; যা মোটি সম্পদের ৯০ শতাংশের বেশি।
এছাড়া নগদ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে আরও ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ টাকা থাকার তথ্য তিনি হলফনামায় দিয়েছেন।
সালমানের মালিকানায় যে গাড়ি আছে, তার দাম ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া তার মালিকানায় থাকা স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতুর আর্থিকমূল্য ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে শেয়ারের পরে তার সবচেয়ে বেশি সম্পদ আছে ঋণ আকারে, যার পরিমাণ ২০ কোটি ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। এই টাকা আত্মীয় ও বিভিন্ন কোম্পানিকে তিনি বিনা সুদে ধার দিয়ে রেখেছেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান তার অস্থাবর সম্পদের তালিকায় ২ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৮৭ টাকার অকৃষি জমি এবং ৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৯ টাকার দালান থাকার কথা বলেছেন।
মোট ৮৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪১০ টাকা ঋণ বা দায় থাকার কথা বলা হলেও এর পাওনাদার কে তা উল্লেখ করা হয়নি হলফনামায়।
আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান সেখানে বলেছেন, একক বা যৌথভাবে অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হওয়ার সুবাদে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ঋণ নেননি।
সর্বশেষ অর্থবছরে মোট ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬২৮ টাকা আয়ের তথ্য দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫০ টাকা এসেছে বেক্সিমকো এবং আইএফআইসি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার থেকে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় এসেছে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ডিবেঞ্চার থেকে, যার পরিমাণ ৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৮ টাকা।
এছাড়া গত অর্থবছরে চাকরি থেকে ৪১ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা সম্মানি ভাতা, ব্যাবসা থেকে ৬ লাখ টাকা এবং বাড়ি ভাড়া/ দোকান ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা পাওয়ার কথাও তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন।
rionrana publisher