Answered 2 years ago
কিল চেইনের ধারণাটা বেশ ইন্টারেস্টিং। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরে আর যারা লিখেছেন, তারা হয়তো সরাসরি গুগল ট্রান্সলেট থেকে কপি পেস্ট করেছেন। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো - তারা যে কি লিখেছেন তা হয়তো তারা নিজেরাও জানেন না বা পড়ে দেখেননি।
যাইহোক, আমি বিষয়টা বুঝিয়ে লিখছি।
১.
টেকনিক্যাল আলোচনায় যাওয়ার আগে আসুন একটা ঘটনা কল্পনা করি। মনে করুন, ঢাকায় একটা রাস্তার পাশে আপনার বাসা বা বিল্ডিং। একদল ডাকাত আপনার বাসায় ডাকাতি করতে চায়। এখন তারা এসে যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুধু কল্পনা করে যে তারা আপনার বাসা ডাকাতি করছে—তাতে কিন্তু তাদের পকেটে অটোমেটিক ভাবে টাকা পয়সা চলে যাবে না।
ডাকাতদেরকে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে। তারা আগে বাসার দরজা জানালা খুঁজে বের করবে। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করবে। তারপর আপনাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে, এরপর হয়তো লুটপাট করবে।
প্রিয় পাঠক, আমি বা আপনি ডাকাতি না করলেও এসব সাধারণ প্রক্রিয়া ধারণা করতে পারি অবশ্যই। বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনাতেও একই রকম ঘটনা ঘটে থাকে।
২.
এবার আসুন সাইবার কিল চেইন বুঝাই। এতসময় "ধান ভানতে শিবের গীত" করছিলাম বলে মনে হতে পারে আপনার কাছে। কিন্তু আসলে হ্যাকিং এর ঘটনা গুলোতেও এরকম প্যাটার্ন বা পদ্ধতির মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যায় অনেক সময়। হ্যাকার শুধু এক ক্লিক করেই আপনাকে হ্যাক করে ফেলে না। বরং বিভিন্ন ধাপে ধাপে আপনাকে আক্রমণ করবে। একটি ছবি দিয়েছি দেখুন :
সহজে যদি বলি - হ্যাকার আগে আপনার সম্পর্কে বিস্তর তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর হ্যাক করার একটা পদ্ধতি বেছে নিয়ে আক্রমণ চালাবে। শেষে গিয়ে তারা আপনার ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে থাকবে। এই ধাপের পরে তারা আপনার ক্ষতি করতে পারে। তবে সবসময় হ্যাক করে যে আপনারই ক্ষতি করবে তা কিন্তু নয়। বরং আপনার ডিভাইস ব্যবহার করে অন্য কাউকেও হ্যাক করতে পারে।
এইযে হ্যাকারদের আক্রমণের পদ্ধতি - ধাপে ধাপে যে আক্রমণ - এটাই সাইবার কিল চেইন। সাইবার আক্রমণ বুঝতে লকহিড মার্টিন ২০১১ সালে এই ধারণার জন্ম দেন।
jotikhatun publisher