Answered 2 years ago
সমস্ত বিশেষণ কম পড়ে যায় এধরনের আবিষ্কারের জন্য। এইটুকু এক মানবদেহ, অথচ কত রহস্যের ভাণ্ডার, ভাবা যায়! যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা মানব শারীরবিদ্যার চর্চা, শব ব্যবচ্ছেদ এবং তাদেরকে নিয়ে এতকাল ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণ, এত গবেষণার পর সত্যিই মনে হয়েছিল হিউম্যান এনাটমি মানে মানব শারীরবিদ্যার সমস্ত তথ্যই যেন আমাদের ভাণ্ডারে জমা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, মানবদেহ যে আরো কতভাবে আমাদেরকে আশ্চর্যচকিত করে দিতে পারে, আমাদেরকে ভুল প্রমাণিত করতে পারে- তা যেন এবার একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করা হল।
নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক সম্প্রতি যা আবিষ্কার করেছেন, তা হল এমন একজোড়া অঙ্গ, যা এতদিন ধরে চোখের সামনে দেখতে পেয়েও 'অঙ্গ' বলে শনাক্ত করতে পারেনি বিজ্ঞানীমহল, ফলস্বরূপ এর উপস্থিতি ছিল সকলের দৃষ্টির অগোচরে।
নাসাগহ্বর যে অঞ্চলে এসে ফ্যারিংক্সের সাথে মিলিত হয়, সেই অঞ্চলের এক গহ্বরে লুকায়িত অবস্থায় আছে একজোড়া লালাগ্রন্থি! যদি এই গবেষণার সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে মেনে নিতেই হবে,মানবদেহে এধরনের শনাক্তকরণ বিগত প্রায় ৩০০ বছরে একবারও করা হয়নি!!! কাজেই এই আবিষ্কার শুধুমাত্র এই বছর বা দশকের জন্য নয়, কয়েক শতাব্দীর বিজ্ঞানশিক্ষা ও গবেষণার জগতে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।
rakibafsar publisher