Answered 2 years ago
এই প্রশ্নের দুই ধরণের উত্তর আসবে। কেউ কেউ শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রশংসা করে, তাকে একেবারে মহামানব বানিয়ে ফেলবে। আবার, কেউ কেউ তার বদনাম ও দোষ-ত্রুটি বলে, তাকে ভিলেন বানিয়ে ফেলবে। নিরপেক্ষ মূল্যায়ন পাওয়া যাবে না।
আজকে আমি একটি নিরপেক্ষ কথা বলবো:
স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, তিনি দেশে ফেরত এসে রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হয়ে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকেন।
ইচ্ছা করলেই, তিনি একটু অন্যরকম করতে পারতেন। তিনি বলতে পারতেন…
আমি অনেক আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন আমি অবসর নিতে চাই। দলের মধ্যে নতুন কোন নেতা উঠে আসুক। নতুন কেউ প্রেসিডেন্ট হোক, দেশ পরিচালনা করুক। আমি অবসর নিলেও, বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্টকে সাহায্য করবো।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে, তখন সারা দেশের মানুষ অংশগ্রহণে নির্বাচন করার মতন অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো না। কিন্তু সেটার বিকল্প আরেকটা পদ্ধতি হতে পারতো।
তখনকার প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে, শেখ মুজিবুর রহমান এর কয়েকজন প্রিয়পাত্র, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতো। দ্বিতীয় সারির বাছাই করা কিছু নেতা, কিছু তারকা মুক্তিযোদ্ধা, ইত্যাদি মিলে, মাত্র কয়েক হাজার মানুষ ভোট দিতো। আর এভাবেই, নতুন কোন নেতা, দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারতো।
নির্বাচিত সেই প্রেসিডেন্ট যে দেশের অনেক উন্নতি করে ফেলতো, এমন দাবী করছি না। দেশ যেমন চলেছিল, ঠিক তেমনই চলতো।
তবে, এর ফলে অনেক বড় সুবিধা হতো। সেটা হলো - বঙ্গবন্ধুর কোন দোষ হতো না। তাকে সপরিবারে হত্যা করতো না। তিনি সবার কাছেই মহামানব হয়ে থাকতেন। উনার যোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতো না।
deb05485 publisher