শূলে চড়ানোর পদ্ধতিটা কী? এটা কোন যুগের শাস্তি পদ্ধতি ছিল ?

1 Answers   13.2 K

Answered 2 years ago

শূলে চড়ানোর শাস্তি পদ্ধতিটি প্রাচীনযুগ থেকে প্রচলিত।তবে সেটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান ওয়ালেসিয়ান প্রিন্স তৃতীয় ভ্লাদ।

শূল হচ্ছে কোন শূচালো দন্ড বা বর্শা।কোন মানুষকে শূলে চড়াতে প্রথমে তাকে ঐ দন্ডের উপর বসিয়ে দেয়া হতো।মানুষটির নিজের ওজনের কারনে ধীরে ধীরে দন্ডটি তার পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে মুখ/পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যেতো।এই প্রসেসটি অত্যন্ত যন্ত্রনাদায়ক ছিলো।কথিত আছে শূলের মাধ্যমে মৃত্যু হতে কখনো কখনো ২-৩ দিন সময় লাগতো।
তৃতীয় ভ্লাদ বললে অনেকে চিনবে না।কিন্তু ড্রাকুলা বললে চিনবে।হ্যাঁ, কিংবদন্তি ড্রাকুলাই ছিলেন ট্রান্সসালভেনিয়ার মৃত্যুদূত।বাবা দ্বিতীয় ভ্লাদের মৃত্যুর পর ওয়ালেসিয়ার শাসক বনে যান ড্রাকুলা। সাথে সাথে অটোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। উসমানীয় সুলতান বিদ্রোহ দমনে পাঠান হামযা বেকে সাথে ২০০০০ সেনা দিয়ে।কিন্তু ড্রাকুলা হামজা ২০০০০ সেনাকেই হত্যা করে শূলে চড়িয়ে দেন।এবার স্বয়ং মুহাম্মদ আসেন ড্রাকুলাকে নিধন করতে কিন্তু সুলতানকে এবারও ফেরত যেতে হয়।ড্রাকুলা ট্রান্সসালভেনিয়ায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে।একে একে তুর্কী বসতিগুলোতে চড়াও হয়ে নারী,পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করতে থাকে।অবশেষে উসমানীয় কমান্ডার আলী বের হামলায় ড্রাকুলা নিহত হয়।তার কাটা মাথা ইস্তাম্বুলের গেটে শূলে গেঁথে রাখা হয়।

Jannatul Rabiya
jannatulrabiya
320 Points

Popular Questions