Answered 3 years ago
অবশ্যই চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়— বা ঠিক ভাবে বলতে গেলে পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে।
আমি ছোটবেলা থেকেই বয়সের তুলনায় কঠিন বই পড়ে এসেছি। প্রথমবার নারায়ণ সান্যালের বিশ্বাসঘাতক পড়ি ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়ে, নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মাও সেই বছরেই। কাকাবাবু আর প্রফেসর শঙ্কু ক্লাস ফোর-ফাইভ এর আগেই শেষ করেছিলাম। ব্যোমকেশ ধরি সম্ভবতঃ ক্লাস নাইনে। শার্লক হোমসও সেই সময়েই। ভল্গা থেকে গঙ্গা, মৈত্রেয় জাতক, সবই এইট-নাইনের মধ্যে শেষ। বনফুল এর ছোটগল্প— সেভেনে শেষ।
সেই আমি— ক্লাস এইটের পরে, আর ফেলুদা বা শঙ্কু পড়ে দেখিনি। বা সত্যজিতের অন্যান্য ছোটগল্পও না। যখন পড়েছিলাম, নিঃসন্দেহে দারুন লেগেছিল। বারো সিরিজের বইগুলোই বলুন, বা ফেলুদা, বা তাড়িণীখুড়ো— ক্লাস ফাইভ থেকে এইটে পড়ার পক্ষে আদর্শ বই। কিন্তু, আরেকটু বড় হবার পরে, আকর্ষণ অনেকটাই কমে যায়, অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল। বড় হবার পরে, বইগুলো আর অতটা ভালো লাগত না। বরং সত্যজিতের অন্যরকম কাজগুলো, যেমন 'একেই বলে শুটিং' বা 'পিকুর ডায়েরী' বেশী ভালো লাগত।
অন্যদিকে, যত বড় হয়েছি, সত্যজিতের ছবি আমার তত বেশী করে ভালো লেগেছে। যেমন ধরুন, গুপি গায়েন বাঘা বায়েন, হীরক রাজার দেশে, সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ, পরশপাথর— এই পাঁচটা ছাড়া সত্যজিতের সিনেমা খুব ছোটবেলায় ভালো লাগতো না। প্রথমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সম্ভবতঃ পথের পাঁচালীও। অপরাজিত-তে ঘুমাই নি, কিন্তু চুড়ান্ত খারাপ লেগেছিল। সীমাবদ্ধ, প্রতিদ্বন্দ্বী, বা জন অরণ্য— সেই বয়সে একটা ছবিও পোষায় নি। চারুলতা দেখে মনে হয়েছিল — 'হায়, গোটা সিনেমা জুড়ে কোন ঘটনাই তো ঘটলো না'।
কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে, সেই 'বোরিং' সিনেমাগুলো আস্তে আস্তে ভালো লাগতে শুরু করলো। আগন্তুকের উৎপল দত্তের সাথে ধৃতিমানের সংলাপ গুলোই বলুন,
mrgroot publisher