Answered 2 years ago
ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ম ভিত্তিক এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রথম ফসল, ধর্মকে রাজনীতিতে আনার মত নিন্দাযোগ্য কাজ সফল ভাবে সমাধা করে অল - ইন্ডীয়া মুসলিম লীগ, ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা জেলায়।
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বিশাল বঙ্গপ্রদেশকে (ছবিতে লোয়ার বেঙ্গল) বেশ কয়েকটি ভাগে ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দেয়। লর্ড কার্জন ১৯০৪ সালে ইষ্ট বেঙ্গলে সরকারী সফরে গিয়ে মুসলমান নেতাদের বোঝায় যে এই পারটিশান হলে ঢাকাকে ইষ্ট বেঙ্গলের রাজধানী করা হবে এবং মুসলমান নেতারা দিল্লির ব্রিটিশরাজের অনুগত থেকে কর পাঠিয়ে রাজত্ব করতে পারবে।
কিন্তু, কংগ্রেস কখনই এই প্রস্তাব মেনে নেয় নি; (আজকের কংগ্রেসের সাথে মেলাবেন না, এক শতক পরে আজকের কংগ্রেস শুধু নামটাই বহন করছে, দেশপ্রেমিক ওরা নয়, ওদের এই পলিটিক্যাল আকুমেনটা চেঞ্জ হবার ফলে যে ভয়েড তৈরি হয় তারই ফলে ৮০'র দশকে তৈরি হয় জনতা পার্টি।) রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানারজি , এর জবাব দিতে শুরু করেন স্বদেশী মুভমেন্ট।
মুসলমান নেতাদের বিরোধ সত্ত্বেও বাঙালি হিন্দুরা অনেক কষ্টে সেবার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে সক্ষম হয়, ১৯১১ সালে, লর্ড হার্ডিঞ্জ আবার যুক্তবঙ্গ ফিরিয়ে আনেন।
তলে তলে মুসলমান নেতারা চুপ ছিলেন না। খাজা সলিমুল্লাহ, ঢাকার নবাবকে লর্ড কার্জন সেই ১৯০৪ সালে যে বাংলা ভাগের মোয়া খাইয়ে এসেছিলেন, সেই তিনিই ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা জেলায় অল ইন্ডীয়া মুসলিম লীগ নামক দলটি প্রতিষ্ঠা করেন, যার উদ্দেশ্য ছিলো ভারত ভাগ করে মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশ। ১৯৩০ সাল থেকে যা মুসলীম লীগের মেইন স্ট্রিম দাবী হয়ে ওঠে।
ব্রিটিশদের পা এতোই চাটতো এই মুসলীম লীগের নেতারা যে, আজো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ফ্যাকাল্টির নাম কার্জন হল।
talhatolib publisher