Answered 2 years ago
এক আল্লাহর প্রতি যথাযথ ঈমান বা বিশ্বাস। কারণ যার ঈমান নেই তিনি সহস্র ভালো কাজ করলেও পরকালে সেগুলো আল্লাহর কাছে মুল্যহীন হবে এবং তাকে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে বাস করতে হবে। অপরদিকে যার ঈমান আছে তিনি অনেক খারাপ কাজ করলেও সেই খারাপ কাজের শাস্তি আস্বাদন করার পর কোনো একদিন অবশ্যই তিনি আল্লাহ কর্তৃক ক্ষমাপ্রাপ্ত হবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করবেন। তবে শর্ত হলো তার ঈমান হতে হবে শিরক মুক্ত।
আর ঈমান শুধু পরকালীন জীবনের জন্য উপকারী নয় বরং পার্থিব জীবনের জন্যও উপকারী। কারণ ঈমানদার ব্যক্তিরা সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করে থাকেন।
কুরআন মাজিদে সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
يا ايها الذين امنوا استعينوا با الصبر والصلاة ان الله مع الصابرين
" হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন। "
হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, মুমিনের বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যজনক ৷ নিশ্চয়ই তার প্রতিটি অবস্থাই তার জন্য কল্যাণকর৷ আর এটা মুমিন ছাড়া আর কারো জন্যই নয়৷ সুতরাং যদি সে কোনো বিপদে পতিত হয় তখন সে ধৈর্য ধারণ করে ৷ ফলে সে বিপদ তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায় | আর যদি সে কোনো ভালো অবস্থায় থাকে তখন সে (আল্লাহর প্রতি) কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ফলে সে সুখও তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়
masrafimortoza publisher