Answered 2 years ago
মহাশূন্যে শব্দ শোনা যায় না। তাই সেখানে পরস্পরের সঙ্গে মুখে শব্দ করে মনের কথা বিনিময় করা যায় না। শব্দ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাবার জন্য প্রয়োজন হয় মাধ্যম। এই মাধ্যম দিয়েই শব্দ চলাচল করে। মানুষের কানের গঠন এমন যে, কোনো মাধ্যম দিয়ে আসা শব্দ তরঙ্গ ভেতরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে অনুভূতি সৃষ্টি। মহাশুন্যে শব্দের কোনো বাহক না থাকায় মানুষকে ইশারায় ভাব বিনিময় করতে হয়। সেখানে শব্দ তৈরী হতে পারে না। আর সেখান থেকে শব্দ আসার কোনো যুক্তিও নেই।
কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা মহাশুন্যে কিছু অদ্ভুত শব্দের সন্ধান পেয়েছেন। মোট নয়টি শব্দ তারা যন্ত্র দিয়ে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। শব্দগুলোকে তারা ‘গা ছম ছম করা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন, শব্দগুলো এত অদ্ভুত যে, কেউ শুনলে তার মনে অন্যরকম একটা ভয়ের অনুভূতি তৈরী হবে।
শব্দগুলো কিসের সেটি নিয়ে চলছে গবেষণা। কিন্তু এখনো কিনারা করা সম্ভব হয়নি। কেউ কেউ এই শব্দগুলোকে ‘এলিয়েনদের’ বা ভীনগ্রহের প্রাণীদের শব্দ বলেছেন। কিন্তু অকাট্ট প্রমাণ না থাকায় সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়নি। নাসার বিজ্ঞানীরা যে শব্দগুলো পেয়েছেন সেগুলো সৌরজগতের একাধিক গ্রহ থেকে আসা।
তারা বলছেন, শব্দগুলোর উত্স নিয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে। -সিএনএন
এই হচ্ছে ২০১৭ সালের একটা খবর৷ মহাশূন্যে ভূতুড়ে শব্দ! | বিজ্ঞান ও টেক | The Daily Ittefaq
আসলে বিষয়টা কী ছিল? নাসার বিজ্ঞানীরা শুন্যস্থানে শব্দ কিভাবে শুনতে পেলেন? শূন্যস্থানে আসলেই কী শব্দ উৎপন্ন হওয়া সম্ভব? সেই শব্দগুলো শুনতে কেমন শোনায়? শব্দগুলো কী সত্যিই এলিয়েনদের? আসুন একটু আলোচনা করা যাক—
নাসার বিজ্ঞানীরা শূন্যস্থানে শব্দ কীভাবে শুনতে পেলেন?
আমরা জানি, শব্দ পরিবহনের জন্য যান্ত্রিক মাধ্যম প্রয়োজন এবং শব্দ রেকর্ড করার জন্য সাউন্ড রেকর্ডার প্রয়োজন৷ মহাশুন্যে যান্ত্রিক মাধ্যম, তথা বায়ু অনুপস্থিত৷ সুতরাং, শব্দ যদি মহাবিশ্বের কোনো প্রান্তে উৎপন্ন হয়ও, তা পরিবাহিত হয়ে মহাশুন্যযানের সাউন্ড রেকর্ডার পর্যন্ত পৌছানো অসম্ভব৷ সুতরাং, বিজ্ঞানীরাা আসলে কোনো শব্দই রেকর্ড করেননি!
তাহলে তা কী রেকর্ড করেছিলেন?
বিজ্ঞানীরাা যেটা রেকর্ড করেছিলেন, তা হল তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic wave) যা শুন্য মাধ্যমেও চলতে পারে৷ আমরা সবাই জানি শব্দকে তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তি (Electromagnetic Energy) তে রূপান্তরিত করা যায়৷ বাস্তবজীবনে আমরা এটা অহরহ দেখে থাকি, করে থাকি৷ টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইলে যে শব্দগুলো আমরা শুনি, তা সবই তড়িৎচৌম্বকী শক্তি হিসেবে আমাদের নিকট পৌছায়; অতঃপর মোবাইল, রেডিও, টেলিভিশন তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করে৷ ফলে আমরা সেগুলো শুনতে পাই৷
বিজ্ঞানীরা সেটাই করেছিলেন৷ শুন্যে (Space) ধারণকৃত তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গকে তারা যন্ত্রের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করলেন৷ ফলে তরঙ্গগুলো তারা শুনতে সক্ষম হলেন৷
শব্দগুলো শুনতে কেমন শোনায়?
মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা (NASA) থেকেই শব্দগুলোকে ভুুুুতুুুুড়ে শব্দ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ শব্দগুলো সত্যিই ভয়ঙ্কর না হলেও ভয়ের উদ্রেক করে, নির্জন স্থানে বসে শুনলে গা ছমছম করবে৷ সাউন্ডগুলো হরর মুভিতে ব্যবহার করলেও খুব একটা মন্দ হবেনা৷ শব্দগুলো শুনতে Spooky Space 'Sounds'
অথবা Spooky Sounds from Across the Solar System
দেখুন৷ এটি নাসার নিজস্ব ওয়েবসাইট, যেখানে তারা এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে৷
Some spacecraft have instruments capable of capturing radio emissions. When scientists convert these to sound waves, the results are eerie to hear.
In time for Halloween, we've put together a compilation of elusive "sounds" of howling planets and whistling helium that is sure to make your skin crawl.
শুন্যস্থানে আসলেই কি শব্দ উৎপন্ন হওয়া সম্ভব?
Juno Captures the 'Roar' of Jupiter:
NASA's Juno spacecraft has crossed the boundary of Jupiter's immense magnetic field. Juno's Waves instrument recorded the encounter with the bow shock over the course of about two hours on June 24, 2016.
Plasma Waves:
Plasma waves, like the roaring ocean surf, create a rhythmic cacophony that — with the EMFISIS instrument aboard NASA’s Van Allen Probes — we can hear across space.
Saturn's Radio Emissions:
Saturn is a source of intense radio emissions, which were monitored by the Cassini spacecraft. The radio waves are closely related to the auroras near the poles of the planet. These auroras are similar to Earth's northern and southern lights. More of Saturn's eerie-sounding radio emissions
.
Sounds of Jupiter:
Scientists sometimes translate radio signals into sound to better understand the signals. This approach is called "data sonification". On June 27, 1996, the Galileo spacecraft made the first flyby of Jupiter's largest moon, Ganymede, and this audio track represents data from Galileo's Plasma Wave Experiment instrument.
Sounds of a Comet Encounter
: During its Feb. 14, 2011, flyby of comet Tempel 1, an instrument on the protective shield on NASA's Stardust spacecraft was pelted by dust particles and small rocks, as can be heard in this audio track.
National Aeronautics and Space Administration
এর Spooky Space 'Sounds'
থেকে নেওয়া হয়েছে৷ এখানে বৃহস্পতি, শনি গ্রহ, প্লাজমা ওয়েভ (Plasma wave) প্রভৃতি থেকে নির্গত তরঙ্গ (Radio Emission) গুলোকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরের কথা বলা হয়েছে৷ এছাড়াও অনেক শব্দ তারা ধারণ করেছেন৷ তার লিস্ট—
raju007 publisher