প্রথমত: মসজিদ মূলত সালাত আদায় করার জন্য, যা দাঁড়ানো, রুকু ও সিজদা দ্বারা সম্পাদন করা হয়, এবং এই শারীরিক প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সাহায্য ও আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় পালন করা হয়ে থাকে…
সালাত হল আল্লাহর সামনে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নবী মুহাম্মদ (সা:) কে সালাতে শুধুমাত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল,
কুরআন 20:14 আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর।
কুরআন 29:45 তোমার কাছে কিতাব যা অবতীর্ণ হয়েছে তা পাঠ কর এবং সালাত কায়েম কর।...
কুরআন 35:29 যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন একটি ব্যবসার আশা করে যা ব্যর্থ হবে না।
কুরআন 22:77 হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
ইসলাম ধর্মে মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম: নবী মুহাম্মদ (সা:) এর সময়েই আল্লাহর ঘর কাবার দিক নির্দেশনায় মসজিদ নির্মাণ করে সালাত আদায় করা শুরু হয়।
নবী মুহাম্মদ (সা) এর সময়ে নির্মিত মসজিদসমূহ, যার মাধ্যমে মুসলমানগণ কুরআনের সাথে সালাতের শারীরিক রীতি শিক্ষা গ্রহণ করে:
* Quba Mosque Medina Saudi Arabia 622
* Al-Masjid al-Nabawi Medina Saudi Arabia 622
* Masjid al-Qiblatain Medina Saudi Arabia 623
* Jawatha Mosque Al-Kilabiyah Saudi Arabia 629/639
* Al-Asha'ir Mosque Zabid Yemen 629
* Huaisheng Mosque Guangzhou China 627
* Xianxian Mosque Guangzhou City China 629
* Barwada mosque Ghogha, Gujarat India Before 623
* Cheraman Juma Masjid Kodungallur India 629
* unnamed Ramjapur Masjid Lalmonirhat, Rangpur Bangladesh Prophet's lifetime
* Palaiya Jumma Palli Kilakarai India 630
* Mosque of the Companions Massawa Eritrea 610–620 (approximate)
* Negash Āmedīn Mesgīd Negash Ethiopia 620–630
* Masjid al-Qiblatayn Zeila Somalia 620–630
* Korijib Masjid Tadjoura Djibouti 630–640
রাসূল (সা:) এর শিখানো সালাত এর শারিরিক রীতি কুরআনের মাদ্ধমে ও আল্লাহর ঘর কাবার দিক নির্দেশনায় তখন থেকেই মুসলমানরা রপ্ত করে আদায় করা শুরু করে।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন:
কুরআন 9:18 নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
কুরআন 72:18 মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।
................. সুতরাং সালাতের জন্য নির্ধারিত মসজিদ বিজ্ঞানাগার করার প্রশ্ন একজন অবিশ্বাসীর মাদ্ধমেই করা সম্ভব।
দ্বিতীয়ত: প্রচলিত মাদ্রাসা মূলত আল্লাহর কুরআনের বিধান উপেক্ষা করে হারাম বিদআত মানুষ রোচিত হাদিসের বিধান অনুসারে শিক্ষা প্রদান করে থাকে যা সম্পূর্ণই আল্লাহর হুকুম অমান্য করে...
সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁর কুরআন অনুসরণ করার আদেশ করেছেন, কোনো মানুষ রচিত বিদআত হাদীস নয়:
সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ আদেশ করেছেন:
আল-কোর'আন, সূরা-আল আনআম
6:155 وَهَٰذَا كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ فَاتَّبِعُوهُ وَاتَّقُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
এটি [কোরআন] এমন একটি গ্রন্থ যা আমি অবতীর্ণ করেছি যা বরকতময়, সুতরাং এর অনুসরণ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।
আল-কোর'আন, সূরা-আল আ'রাফ
7:3 اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ ۗ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ
তোমরা অনুসরণ করো, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য অভিভাবকদের অনুসরণ করো না।
.................. সুতরাং, মাদ্রাসাকে বিজ্ঞানাগার না বানিয়ে আল্লাহর বিধান কুরআন অনুসারে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত।
babynaznin publisher