মরে যাব এটা নিশ্চিত। কিন্তু পরকালের জন্য কী করছি? কী করা উচিত?

1 Answers   3.9 K

Answered 2 years ago

প্রিয় জনাব, এমন প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারা লোকের কথা মনে হলে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বিশ্বের জ্ঞানীতম মানুষটিও এক জন ধর্মিয় আলেমকে উপযুক্ত মনে করবেন। এ ধারনাটিই মহান সৃষ্টি কর্তা সম্পর্কে আমাদের ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে। তাছাড়া পরকাল বিষয়ে মহাগ্রন্থ কোরআনূল করীমের বিবৃতি বাদ দিয়ে কল্পনার ফ্যাক্টরিতে তৈরী এমন সব ভয়াবহ কাহিনী সূরে সূরে প্রচার করে মানুষের মনে ও মগজে একটা আতংক তৈরী করে চলেছেন।

সর্বোপরি কত মহৎ প্রান আলেমদের আক্ষেপ করতে শুনেছি যে চর্চিত ধর্ম পালনের দু'একটা অসাড়তার বিরুদ্ধে সঠিক মতামত দিতে গিয়ে বা শুধরে নিতে বিনয় করার পরও প্রথাবাদী কথিত আলেমদের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। সে বিবেচনায় সম্ভাব্য আক্রমনের অশিষ্ট ভাষা যেমন ফাসেক. মুরতাদ, মুকারিনে হাদিশ বা কাফের ইত্যাদি অপবাদ লইতে ও সইতে পারার আশংকা নিয়ে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করছি।

জনাব, পবিত্রতম ঐশীগ্রন্থ কোরআনূল করীমে কোন প্রকার সন্দেহ পোষন করার অবকাশ নেই। পরকালের মত মহাকালে যাত্রার একমাত্র নির্ধারিত মাধ্যম হলো মৃত্যু । যা বান্দাকে নবায়নকৃত এক মহা জীবনে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এখন প্রশ্ন হলো একটা নূতন পথের সন্মক ধারনা ও পাথেয় কি হলে পথিক নিশ্চিন্ত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। আসুন সে আলেচনাটাই সংক্ষেপে করি।

মৃত্যু হলো বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য উপহার। এই যে বিশ্বাসী এবং সৎকর্মশীল বান্দা তাঁদের রুহ গ্রহনের আহবানটি এতোটাই মোহনীয় ও মর্যাদাপূর্ন যে, যে কোন পাঠক পবিত্র কোরআনূল করীমের সূরা ফজরের ২৮ হতে ৩০ আয়াহগুলির সওগাত আনন্দসহযোগে গ্রহন করতে সদা প্রস্তুত থাকবেন। ( হে প্রশান্ত আত্মা! চলো তোমার রবের দিকে, এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে) সন্তুষ্ট (তেমার রবের) প্রিয় পাত্র । শামিল হয়ে যাও আমার নেকবান্দাদের মধ্যে এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে)। ৮৯ঃ ২৮-৩০

তাহলে এমন প্রিয়বান্দা হওয়ার যোগ্যতা হলো বিশ্বাস ও সৎকর্ম-যা পবিত্র্র্র্র কোরআনূল করীমের কিছু আয়াতের রেফারেন্স গভীর মনোসংযোগে পড়ে নিতে বিনয় রইলো।

সূরা বাকারাহ ২ঃ ৮০-৮২ , ১১১-১১২

সূরা আল ইমরান ৩ঃ ২৪-২৫

সূরা নিসা ৪ঃ ২৩-১২৪

সূরা মায়েদা ৫ঃ ৬৯

সূরা তৌবা ৯ঃ১২০

সূরা ইব্রাহীম ১৪ঃ ১৮

সূরা নূর ২৪ঃ ৩৯-৪০

সূরা যিলযাল ৯৯ঃ ৭-৮

পবিত্র কোরআনূল করীমে বর্ণিত অবশ্য করনীয়সহ সৎকর্মের পরিধি যেমন বান্দার হক আদায়, পিতা মাতার প্রতি সদয় হওয়া, সাধ্যের মধ্যে দাতব্য কাজ, পর উপকার , মিসকিনদের খাদ্যদান থেকে পথের বাঁধা একখ খন্ড শীলা সরানো বা সৎ পরামর্শ দান, বা একটা আন্তরিক হাসি বিনিময় পর্যন্ত বিস্তৃত।

শেষ করি এমন আশাবাদ নিয়ে যে আখিরাতের পরিনতী মহান আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির ব্যপারে কোন সংশয় থাকা বাঞ্চনীয় নয়। মা আসসালাম। ধন্যবাদ।

Rabiya Borshi
rabiyaborshi
285 Points

Popular Questions