Answered 3 years ago
মঙ্গলে একসময় পৃথিবীর মত পানি ছিল। ছিল সাগর মহাসাগর ও নদী। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমন্ডল ছিল পাতলা। ফলে বিলিয়ন বছর ধরে এইসকল পানি বাষ্পীভূত হয়ে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের উপরের দিকে উবে যাচ্ছিল এবং সেখানে গিয়ে পানি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনে পৃথক হয়ে যাচ্ছিলো। হাইড্রোজেন মহাকাশে অবমুক্ত হয়ে গেলেও অক্সিজেন বিভিন্ন রকম অক্সাইড আকারে মঙ্গলে থেকে যায়। মঙ্গলের যে লালচে মাটি, এই মাটি মূলত আইরণ অক্সাইড। মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের ৯৫ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড। মঙ্গলে এমন নানান ধরনের অক্সাইডের দেখা পাওয়া যাবে কারণ মঙ্গলের যে বায়ুমন্ডল সে বায়ুমন্ডল একটি অম্লীয় বায়ুমন্ডল। এই বায়ুমন্ডলের কারণে মঙ্গলের উপরিভাগে পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে না।
ভূগর্ভস্থ পানি
মঙ্গলে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্ব আছে। তবে এসব পানি মিনারেল আকারে আটকা পড়েছে। কিছু পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি মঙ্গলের মাটির সালফারের সাথে মিশে সালফেট গঠন করে এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসার পর অক্সিডাইজড হয়ে পড়ে। ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ অল্প।
দুই মেরুতে পানি
বর্তমানে মঙ্গলের সকল পানি দুই মেরুতে বরফ আকারে সংরক্ষিত আছে। এই দুই মেরুর পানি গলিয়ে ফেললে পুরো মঙ্গল গ্রহকে ১০০ ফুট গভীর পানিতে নিমজ্জিত করা যাবে।
অক্সিজেন সংগ্রহ করা জন্য মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ও অক্সিজেন আকারে পৃথক করে ফেলা যাবে। ইতোমধ্যেই এই কাজটি ২০২০ মার্স রোভার সম্পন্ন করেছে। তবে সমস্যা হলো এটা একটু ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে গবেষণা চলছে কিভাবে অল্প খরচে অক্সিজেন সংগ্রহ করা যায়।
shezakhan publisher