বয়স হলে অনেকেই ঘুম না আসলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। এটা কতখানি ভুল বা ঠিক ?

1 Answers   10.9 K

Answered 2 years ago

শুধু বয়স হলেই যে মানুষ ঘুমের ঔষধ খান তা কিন্তু ঠিক না।অনেক সময় রোগীর অবস্থা দেখেই কিন্তু ডাক্তার অন্য ঔষধের পাশাপাশি ঘুমের ঔষধ দেন। আবার অনেকেই ঘুম হচ্ছে না দেখতেই কোন চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ঔষধ নিয়ে নেন।এটা কিন্তু মোটেও ঠিকনা।
আমি কোন বিশেষজ্ঞ নয় আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি। গত একবছর করোনা কালীন সময়টাতো আমি বেশ মানসিক চাপে ছিলাম। চারপাশে মৃত্যুর আহাজারি।

খারাপ খারাপ খবর ।তখন আমি আমার পছন্দের কোন কাজ করতাম না।সংসারের কাজ শেষ হতে নাহতেই ফেইসবুক ডুকে পড়তাম।খুলতেই নানান খবর আমাকে আহত করে।

সাগর রুমি,তনু,এই রকম আরও নারী শিশু নির্যাতন, হত্যার ঘটনা। বিশেষ করে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার বিচার হচ্ছে না দেখে।এইরকম আরও নিঃশপাপ অনেক হত্যা।এবং শ্রদ্ধেয় আল্লামা মৌলানা দেলোয়ার হোসেন সাহেব সাঈদীর করাবন্দি।

তখন আমার মাথায় এটা ও আসছেনা,প্রধান মন্ত্রী যখন একজন মা!মা,বাবা, ভাই হারা,ব্যক্তি!তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রাপ্ত!তিনি যখন এই বিষয়ে কোন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করছেননা।যিনি কিনা ১৮ কোটি মানুষের দায় ভার নিয়ে আছেন।তিনি তো কিছু করতে পারছেননা এই সব বিষয়ে!তিনি তো দেশের প্রধান মন্ত্রী এবং যথেষ্ট যোগ্য নারী!.............

"এই বিষয়ে আমি গৃহবধূ কি করতে পারি?"

তার উপর আমি এমন একটা বিষয় জানতে পারি, এতে আমার অবস্থা আরও বেশ খারাপ হয়েছিল এমনকি একটা অবুঝ শিশুর মত হয়ে গিয়েছিলাম।আমাকে আমার স্বামী এতো করে বুঝাতে লাগল.......... কিন্তু শুধু বার বার একি জায়গায় আটকে ছিলাম। উনি আমাকে বার বার বুঝাতো দেশে অনেক জ্ঞানী গুনি ব্যক্তি রয়েছেন তারা বিষয়টি দেখবে।
না আমি তো বুঝার পাত্র নয়।এমত অবস্থায় একদিন এমন হয়েছিল ডাক্তার বলেছিল আর আধ ঘন্টা দেরি করলে নাকি আমি মারা যেতাম।এমন কি এক মাস বেড রেস্টে ছিলাম। সেই সময় আমার বাচ্চারা এবং আমার স্বামী প্রচুর যত্নে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে আমি সুস্থ হই।

আমার পরিবার আমাকে ডাক্তারি ঔষধের পাশাপাশি হুজুরের থেকে ও চিকিৎসা করেয়েছিলেন।পরিবারের সদস্যরা আমার এমন অবস্থায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।

একসময় ডাক্তার আমার অন্য ঔষধ গুলো বন্ধ করে দিলেও ঘুমের ঔষধটা বন্ধ করেনি।ঔষধ খেতে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।তাই আমি ঔষধ ছাড়া কিভাবে ঘুমাতে পারি সেই বিষয়ে ভাবতে লাগলাম। আমি আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে একটা হলেও রোজ করতাম।শুরুতে আমার খাবারের মধ্যে সবচাইতে পছন্দের চা পান করা সেইটা ও ছেড়ে দিয়েছিলাম।তবে এখন পান করতে পারি আলহামদুলিল্লাহ।
অতিরিক্ত ঔষধে আমার ওজন ও বেশ খানিকটা বেড়ে যায়।

বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখি; গবেষকরা নানান পরিহ্মা নিরিহ্মার মাধ্যমে ঘুমের ঔষধের কিছু হ্মতিকারক দিক খুঁজে বের করেছেন;
ঘুম সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচলিত কিছু ধারণা আমাদের স্বাস্থ্য এবং মেজাজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি আমাদের আয়ু কমিয়ে ফেলছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এর মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্র জনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি, যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া।
তাই, চিকিৎসক সুপারিশ করেন যে, সবার প্রতিরাতে একনাগাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুমের লক্ষ্য রাখা উচিত।

১) ঘুমের ঔষধ সেবন করলে তন্দ্রাছন্নতা দেখা দিবে। আপনি যে দিন ঘুমের ঔষধ সেবন করবেন সেই দিন ঘুম পরিমান মত না হলে সেই ঘুমের প্রভাব পরের দিন ফেলবে। আর তন্দ্রাছন্ন অবস্থায় কোন যানবাহন সহ ভাড়ী যন্ত্রপাতি চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
২) আপনি ঘুমের ঔষধ সেবন করলে আপনার ব্যবহার আচার দিন দিন পাল্টে যাবে। কারন ঘুমের চাহিদা আপনার শরীরে সবসময় থাকবে আর ঘুম লাগলে ক্লান্ত অনুভূত হয়। তখন ভালো কথাও আপনার শুনতে খারাপ লাগবে ও খিটখিটে মেজাজ প্রভৃতি নানারকমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
৩) ঘুমের ঔষধ একটি নেশা দ্রব্য মতই কাজ করে। ঘুমের ঔষধ গ্রহণকারীর হ্যালোসিনেশন সমস্যাগুলো দেখা দেয়। ঘুমের ওষুধের তালিকায় রয়েছে বহুল প্রচলিত নেশা দ্রব্যগুলো যা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

৪) অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ঘুমের ঔষধ মানুষের হার্ট ও ব্রেনের রক্তনালীর রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। আবার অনেকসময় অতিরিক্তি ঘুমের ওষুধ খেলে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে। এমনকি অনেকে কোমায় চলে যেতে পারে সেই সাথে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।

৫) ঘুমের ঔষধ খেলে শরীরে সবর্দা ঘুমের প্রভাব ফেলে। এর কারনে শরীর থেকে বর্জ্য বেড়িয়ে যেতে বাধাগ্রস্থ হয়। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায়। এছাড়া ঘুমের ঔষধ নিয়মিত খেতে থাকলে একই মাত্রার পাওয়ার আর কাজ করে না। তাই ওষুধ ছাড়াই ঘুমানোর চেষ্টা করুন ।

Ahmed Tahsan
ahmedtahsan
305 Points

Popular Questions