Answered 2 years ago
বেশিরভাগ মুসলিম রাষ্ট্র অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দূর্বল এই কথাটা ভুল। কারণ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ দেশ রয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দরিদ্র অথবা ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম অথবা অমুসলিম হওয়ার কোন ভূমিকা নেই। যেসব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বর্তমানে ধনী/দরিদ্র তারা যদি মুসলিম দেশ নাও হতো তাহলেও তাদের অর্থনৈতিক অবস্হা একই থাকতো। যেমনঃ সৌদি আরব/কাতার যদি মুসলিম দেশ নাও হতো তাহলেও তারা অবশ্যই ধনী হতো। পক্ষান্তরে সুদান/সোমালিয়া যদি অমুসলিম দেশও হতো তাহলেও তারা গরিবই হতো।
তবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যে বিজ্ঞান এবং প্রযক্তিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে তার জন্য অবশ্যই হুজুর/আলেম সমাজের দায় আছে। তারা যদি চাইতো তাহলে নিজেদের জনপ্রিয়তাকে ব্যাবহার করে মুসলমানদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে পারে। কিন্তু তারা বরং উল্টোটা করে। করোনা মহামারির শুরুতে অনেক হুজুর বলেছিল, করোনা ভাইরাস আল্লাহর সৈনিক, মুসলমানদের করোনা হবে না, করোনার ভ্যাকসিনের ভিতরে মাইক্রোচিপ আছে ইত্যাদি। এছাড়া কয়েকদিন আগে জনপ্রিয় হওয়া আবু তোহা আদনান তো এটাও বলেছিল যে, আমরা যে মোবাইল কম্পিউটার ব্যবহার করি সেটা ইহুদি খ্রিস্টানদের কালো জাদু দিয়ে চলে(যদিও তিনি নিজে মোবাইল কম্পিউটার সহ ইহুদি খ্রিস্টানদের তৈরী বহু প্রযুক্তি নিজে ব্যাবহার করেন)।
সবচেয়ে বিরক্তিকর যে কাজটা হুজুরেরা করে সেটা হলো বিজ্ঞানীরা নতুন কিছু আবিষ্কার করার পর তারা বলেযে কোরআনে এটা ১৪০০ বছর আগেই বলা ছিল। কিন্তু এই হুজুরেরা পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেলার পরেও বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করার আগে বুঝতে পারে না যে কুরআনে সেটা লিখা ছিল। অনেক হুজুরেরা দাবী করে যে বিজ্ঞানীরা কোরআন গবেষণা করে নতুন নতুন জিনিষ আবিষ্কার করে। কিন্তু এই হুজুরেরা যারা পুরো কোরআন মুখস্ত যানে, প্রত্যেকটি আয়াতের তাফসির পরেছে তারা জীবনেও কোরআন গবেষণা করে কিছু আবিষ্কার করতে পারে নি।
Harun Khan publisher