বেশিরভাগ পুরুষেরই জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলো গ্রহণে অনীহা এবং তারা সেটা মেয়েদের উপরে চাপিয়ে দেয় কেন?

1 Answers   1.6 K

Answered 2 years ago

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে পুরুষদের অনীহার কারণে প্রতিদিন বিশ্বে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত শিশুজন্ম বা গর্ভপাত হচ্ছে।

অধিক জনসংখ্যার দেশসমুহ হলো, চীন, ভারত, আমেরিকা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। পৃথিবীর বেশিরভাগ জনসংখ্যায় এদেশগুলোতে। এই দেশগুলো জন্মহার নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রতিবছর বিপুল জাতীয় সম্পদ ব্যয় করছে। কিন্তু জন্মহার নিয়ন্ত্রনে থাকলে এই সম্পদ কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় করা যেতো, যেমন জাপান, নরওয়ে প্রভৃতি দেশ জনকল্যানে বিপুল অর্থ ব্যয় করে । চিকিৎসাখাতে উন্নত দেশগুলো ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ প্রচুর ভর্তুকি দেয়, যা গরীব দেশগুলোর নাগরিকদের ফকির করে ছাড়ে।

পুরুষদের যৌন আগ্রহ বেশী থাকলেও জন্মনিয়ন্ত্রণে মোটেও আগ্রহ নেই। এটা যেন নারীদের একান্ত সমস্যা । অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণে নারীর শরীর ও মনের উপরে বিরাট ঝড় বয়ে যায়।

কিন্তু পুরুষদেরও জন্মনিয়ন্ত্রনে আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।

কিন্ত কিভাবে? একজন চিকিৎসক হিসেবে দেখেছি, কুড়ি থেকে আশি বছরের বৃদ্ধও যৌনতা বর্ধক ঔষধ সেবনে আগ্রহী। হুজুর থেকে শুরু করে ক্যান্সার, কিডনি ও হার্ট ফেইলিওর রুগীও ঐ ঔষধ লিখে দিতে অনুরোধ করছে। ডিফেন্স এর রুগী চেম্বারে আসলে বেশীরভাগই এটার জন্যই আসে । ইদানিং এসব রুগী একটু কম।

কারণ আজকাল ক্যাবলটিভির চ্যানেলগুলো পুরুষদের যৌনতা বৃদ্ধির জাতীয় দায়িত্ব নিয়েছে। রাত এগারোটা বাজতেই প্রতিটি চ্যানেলে শুরু হয়ে যায় ভারতীয় দেশি, আয়ুর্বেদিক, যৌণতার ঔষধের সচিকিৎসক বিজ্ঞাপন । এতে সরকারের সায় আছে মনে হয়।

আমরা জানি পশ্চিমে পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রন পিল তৈরি হয়ে গেছে এবং এটা ক্লিনিকেল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে। প্রশ্ন হলো, পুরুষরা এটা খাবে কি! পুরুষদের এটা খাওয়াতে চাইলে, এটাকে এর কাজের পাশাপাশি যৌণবর্ধক হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। তখন হয়তো সেচ্ছায় খেতে পারে। এ ছাড়া আর উপায় কোন উপায় দেখছি না।

Suriya Mimpi
suriyamimpi
306 Points

Popular Questions