Answered 2 years ago
আমার একটা কথা বুঝে আসে না, এই প্রশ্নে কোন ধরনের সাইকো সুখ অনুভব হয় কি, না ?
এই প্রশ্নে দুইটি দল জড়িত। একজন দল এই প্রশ্ন করে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করতে চায় অপর দল বিব্রত হয়ে অন্যকিছু উদঘাটন করে বাঁচতে চায়।
দলীয় কোন্দল বাদ দিয়ে যদি স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ধারণ করে যদি বলি ,হ্যাঁ তিনি "বীরঙ্গনা" । দেশের জন্য তার অবদান আছে। আজ সেই স্বাধীন দেশ থেকে এই প্রশ্ন করছি, এটা তার ও তার মতো হাজার মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের "বাংলাদেশ"।
চেতনার কথা মুখে নয় অন্তরে লালন করুন। আবার যদি বলি না তিনি বীরাঙ্গনা নন, বঙ্গবন্ধুর বাকশাল যেমন মিথ্যাচার।
এটাও সেটার মতই মিথ্যাচার।
কোন ইতিহাসটা গ্রহন করবেন? কাকে বিশ্বাস করবেন ? সময়ের সাথে সাথে ইতিহাস ও বদলে যায়।
আমি যুদ্ধ দেখিনি, যুদ্ধের ৫ বছর পর জন্মেছি। তাই আমি সঠিকভাবে এখনো "চেতনার " সংঙ্গাটা বুঝে উঠতে পারিনি।
আমি দেখেছি একজন নারী ধর্ষিত হওয়ার পর বার বার ধর্ষনের বর্ণনা দেয়াটা যেমন কষ্টকর ঠিক তেমনি এই ব্যাপারটা আলোচনাটা সেইরকম বিব্রতকর।
এই প্রশ্নের উত্তর টা দেয়ার ইচ্ছা ছিল না।২০১৮ সালে লীগের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলাম তখন এই বিষয়টা খুব রসাত্মকভাবে আলোচনা চলে, তাদের কথায় এতটা নিজেকে অসহায়, বিব্রতবোধ হচ্ছিলো একজন নারী হয়ে আরেকজন নারী সম্পর্কে এসব কথা শুনতে ইচ্ছে করছিল না , সভা ছেড়ে চলে আসি। আর তখন থেকে নেতাদের সম্পর্কে সুধারনাটা নষ্ট হয়ে যায়। যে "মা" জাতীকে সম্মান করে কথা বলতে পারেনা। সে অন্য নারী আর দেশের কি সেবা করবে?
টুইষ্টটা তো বলা হলো না, যেসব নেতারা ঐ কথা দিয়ে ময়না তদন্ত করলো যে নারীর। কোন এক সময় সেই নেতারা ঐ নারীর গুণগানে ব্যস্ত থাকতো।
হয়তো এর নামই রাজনীতি। আজ রাজা কাল ফকির। কারো শনির দশা লাগে, কারো বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকে।
abduladi publisher