Answered 2 years ago
আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গরা শতকের পর শতক ধরে 'ঐ দেশে'(ইউরোপীয় রাষ্ট্রে) অবস্থান করার পরেও তাঁদের গায়ের রং এক পোঁচও ফর্সা হল না, শত সহস্র বছর ধরে 'ঐ দেশের' ভূমিসন্তানদের গাত্রবর্ণ লালচে তামাটে প্রায় ভারতীয় উপমহাদেশীয়দের মত(আমেরিকা মহাদেশ), সাম্রাজ্যবাদী শ্বেতাঙ্গরা বংশানুক্রমে দ্বিশতাধিক বর্ষ ধরে কালো মানুষদের 'ঐ দেশে'(দক্ষিণ আফ্রিকায়)কাটিয়ে দিয়েও যেমন রাঙা টুকটুকে ফর্সা তেমনই রয়ে গেল, আর আপনি স্রেফ 'কত বছর'-এর নিরিখে চিন্তা করছেন? জীনতত্ত্ব তো মশাই আপনার দিকে তেরছা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলছে, "ম্যায় ক্যা করুঁ ফির? জব ছোড় দুঁ?"
জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের গাত্রবর্ণ নির্ধারিত হয় মূলতঃ ছয়টি genetic alleleএর দ্বারা(সর্বমোট অবশ্য তিনশতাধিক), ও গাণিতিক নিয়মে এটা হয়ে থাকে, অর্থাৎ যে ব্যক্তির বাবা-মা যে অনুপাতে 'ফর্সা'/'কালো' alleleএর ধারক/বাহক, তাঁদের শরীরে উৎপন্ন শুক্রাণু/ডিম্বাণুর মধ্যে বাহিত alleleএরও তত রকমফের হয়, এবং নিষিক্তকরণ হয়ে ভ্রুণ তৈরির সময়ে কোন দুটি allele-বাহী শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটবে তা সম্পূর্ণ random chance factorএর উপর নির্ভরশীল(অর্থাৎ গোটাটাই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর গণিতের 'permutations, combinations and probability' অধ্যায়ের খেলা)। যে দুটির মিলন ঘটবে, তাদের যোগফল হবে সন্তানের গাত্রবর্ণের নির্ধারক। উপরোক্ত কতখানি আপনার কাছে বোধগম্য হল তা জানি না আমি, তবে কোনও কড়া mutagenএর কারণে somatic mutation না হলে, বা প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের মত Vitiligo Universalis(শ্বেতী)নামক autoimmune রোগে আক্রান্ত না হলে এ জন্মে আপনার আর শ্বেতাঙ্গ হওয়া হচ্ছে না!
rohanahmed publisher