Answered 2 years ago
একটা গল্প বলি
পাশাপাশি দুটো দোকান, একটি এক সর্দারের অন্যটি এক বাঙ্গালির। এক ভদ্রলোক প্রথমে বাঙ্গালিটির দোকানে যান এবং একটি স্যাম্পেল দেখিয়ে বলেন যে এই রকম জিনিস তাঁর ১০০ পিস চাই তিনদিনের মধ্যে।
বাঙ্গালিটি হিসেব করে, সকালে কাঁচা বাজার করে ফিরতে ফিরতে আটটা , তারপর চা খবরের কাগজ শেষ করতে নয়টা, তারপর স্নান আর জলখাবার খেয়ে দোকান খুলতে খুলতে খুব তাড়াতাড়ি হলেও এগারটা, তারপর একটায়ে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাওয়া এবং একটু ভাত ঘুম দিয়ে দোকান খুলতে খুলতে চারটে। বিকেলের চা খেতে মোটামুটি আধ ঘণ্টা, এরপর রাত আটটায়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরা অর রাতের খাবার খেয়ে ঘুম।
তিনি বললেন, না পারব না। অন্তত সাত দিন তো লাগবেই। ভদ্রলোক বললেন কাজটা খুব ই জরুরি আর তিনদিনের মধ্যে না দিলে একটা বড় কট্রাক্ট হাত ছাড়া হয়ে যাবে। তিনি রিকোয়েস্ট করলেন "দেখুন না পারবেন কি না, এটা খুব ই জরুরি।বাঙ্গালিটি বল্ল না দাদা পারলাম না দুঃখিত খুব তাড়াতাড়ি হলে বড়জোর পাঁচ দিনে দিতে পারি, সকালে না হয় কাগজ দেখব না।
ভদ্রলোকটি এরপর সর্দারের দোকানে যান এবং সর্দার কেও সেই একই কথা বলেন যে তিন দিনের মধ্যে তাঁর ১০০ পিস চাই।
সর্দার কোনও কিছু চিন্তা না করেই বলে যে , হয়ে যাবে কোনও চিন্তা নেই। তিন দিনের মাথায়ে ভদ্রলোক ডেলিভারি নেওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করলেন, " কিভাবে করলেন? বাঙ্গালি ভদ্রলোক তো পাঁচ দিন চেয়েছিলেন"।
সর্দার বলল , সেরম কিছু না, আমি স্ত্রী কে বললাম " তিনদিন একটু কষ্ট কর, আমার দু বেলার খাবার টা দোকানেই দিয়ে যা।" আমি দিন রাত্রি জেগে কাজ করলাম, ভাবলাম যদি কাজটা সময়ে মতন দিতে পারি , তাহলে আপনার সুবিধা হবে, আপনি আরো অর্ডার পাবেন, আর যেহেতু আপনি আমার কাজের জন্য অর্ডার পাচ্ছেন, সেগুলো ও আমাকে দিয়ে ই নিশ্চয় করাবেন, তাতে আমার ই লাভ কি বলেন?
ব্যাস এবার বাসায় গিয়ে এক দিন পুরো ছুটি নিয়ে কষে ঘুম লাগাব আর পরিবারের সাথে সময় কাটাব ।
আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর এর মধ্যে পাওয়া যাবে।
romzanreza publisher