Answered 2 years ago
পরিসংখ্যানের দিকে যাব না। সহজ এবং সাবলীল ভাষায় লেখার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে যথেষ্ট পিছিয়ে এবং প্রযুক্তিতে আগাচ্ছেও দ্রুত।
উন্নত দেশের সাথে আমাদের তুলনা করলে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। কিন্তু যদি আমাদের মতই মধ্যম আয়ের দেশের সাথে তুলনা করি তাহলে বাংলাদেশের প্রযুক্তি বেশ সমাদৃত।
যেমন বাংলাদেশের উদ্ভাবিত আইওটি ডিভাইস ব্যবহৃত হচ্ছে জাপানে এবং সৌদি আরবে।
সৌদি আরব তাদের বাসা বাড়ির পানির ট্যাংকের ওয়াটার লেভেল সম্পর্কিত তথ্য, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পানি শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই বার্তা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশী আইওটি প্রযুক্তি এবং ডিভাইস ব্যবহার করছে।
উল্লেখ্য আইওটি শব্দের অর্থ হচ্ছে "ইন্টারনেট অফ থিংস"।
এর পর এই যে আমরা বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করি। এই প্রযুক্তিতে সফল হওয়ার দিক থেকে চতুর্থ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। আঙ্গুলের ছাপ দেখে অপরাধী সনাক্তকরণ প্রথম আবিষ্কার হয় অখন্ড ভারতের কলকাতা থেকে। তবে তার পেছনেও ছিল এক বাংলাদেশী (তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার) বিজ্ঞানীর অবদান। যদি কলোনিয়াল শাসকেরা এই অর্জন তাদের বলেই চালিয়ে দিয়েছে।
এরকম ইতিহাস বাংলাদেশের অসংখ্য আছে এবং সেই ধারাবাহিকতা থাকলে হয়ত আমরা আরো আগাতে পারতাম। তবে পিছিয়ে থাকার সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের জেনারেশন।
আমাদের ভেতর গবেষণা করার মানসিকতা কম। আমরা সবক্ষেত্রেই সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি। প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়ার জন্যও আমরা সরকারকে গালিগালাজ করি অথচ এখানে আমাদের অংশগ্রহ শূণ্যের থেকে একটু বেশি।
এর বাইরে মেধাপাচার উপমহাদেশ থেকে যেভাবে হচ্ছে সেভাবে অন্য কোথাও হচ্ছে না।
মেধাবী মানুষগুলো যদি উন্নত দেশগুলোর দিকে ঝুঁকে না পড়ে তাহলে হয়ত তারা দেশের জন্য কিছু করতে পারবে। তাদের উদ্ভাবিত পণ্যের বাজার বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলে তারা দেশ থেকেই ভালো কিছু করতে পারবে। অথচ তাদের অধিকাংশেরই অজুহাত "এই দেশ তাদের মূল্যায়ন করতে পারেনা"। অর্থ্যাৎ ঘটা করে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে অথবা কেউ তাদের অবমূল্যায়ন করলে তাদের জাত যাবে।
আবার টিকটক কালচার নিয়ে বেড়ে ওঠা বর্তমান জেনারেশনের ভবিষ্যৎ কতটুকু উজ্জ্বল সেটাও চিন্তার বিষয়।
সবমিলিয়ে আমাদের সবার অনাগ্রহই মূলত প্রযুক্তির দিক থেকে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। ভিনদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে যতই উৎকর্ষতা আনি না কেন, সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না কখনোই।
zahirahmed publisher