Answered 2 years ago
বাংলাদেশের পক্ষে ইসরাইলের চেয়েও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া থিওরেটিকাললী খুবই সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ যত ধনীই হোক না কেন, সামরিক শক্তিতে ইসরাইলের সমকক্ষ হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। কারনঃ
১। ইসরাইল একটি অঘোষিত কিন্তু বাস্তব পারমানবিক শক্তিধর দেশ, অপরপক্ষে বাংলাদেশ পারমানবিক অস্ত্রের গবেষণা, উতপাদন , সামরিকায়ন ও বিস্তার নিষিদ্ধকরন চুক্তিতে সাক্ষরকারী দেশ।
২। ইসরাইল সৃষ্টি লগ্ন থেকেই একটি সামরিকায়িত দেশ, যেহেতু তাকে তার প্রতিবেশীদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী ও চলমান যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশ একটি প্যাসিফিষ্ট রাষ্ট্র, অর্থাৎ আন্ত রাষ্ট্রীয় দ্বন্ধকে বাংলাদেশ যুদ্ধের মাধ্যমে সমাধান করবে না এই মর্মে সাংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সংবিধান ও পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন শত্রু নেই সকলেই বন্ধু। আর আমাদের প্রতিরক্ষানীতি সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়।
৩। বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও বাস্তবতার সাথে ইসরাইলের বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী। মনে রাখবেন সামরিক শক্তির বিকাশ তখনই ঘটে যখন তা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দর্শণ ও ভূরাজনৈতিক হুমকীর ধারনার সাথে সংগতিপূর্ণ হয়।
আপনি যদি জনগণ হিসাবে এই দর্শণে বিশ্বাস করেন যে, 'ভেঙ্গেছিস কলসীর কানা, তাই বলে কি প্রেম দেব না"!- তখন আপনার ছুরি কাচি ঢাল তলোয়ার তো প্রয়োজন পড়ে না। লিপস্টিক মাখিয়ে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে মনোরঞ্জন করেই সমস্যা সমাধানে বেশী নজর দিতে হবে। ইসরাইল কিন্তু দুনিয়ার যেকোন প্রান্তে পারুক আর না পারুক, তার শত্রুদের বাড়া ভাতে ছাই দেবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটাই সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আর ইসরাইলের পার্থক্য টেনে দিয়েছে।
firozahmed publisher