Answered 2 years ago
বাংলাদেশের সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের কে আমার একটা বিনীত অনুরোধ আপনারা আপনাদের দেশে ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। নইলে আমরা ভারতের হিন্দুত্ববাদী মৌলবাদকে আটকাতে পারবো না। সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে ছোঁয়াচে রোগের মতো। বিশেষত উপমহাদেশের মতো একটা প্রচন্ড ধার্মিকভাবে সেনসিটিভ জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা এক দেশ থেকে আরেক দেশে দাবানলের মতো ছড়ায়। তাই দয়া করে আমাদের , নিজেদের এবং উভয় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সাবধান হন।
পাকিস্তানে হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা বলে ভারতে মুসলিম-বিদ্বেষ ছড়াতে সুবিধা হচ্ছে কিছু মানুষের ।বাংলাদেশে এরকম হিন্দু-বিদ্বেষ চলতে থাকলে ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গেও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার হাওয়া বইতে থাকবে। এমনিতেই ভারতে অনেকের মুখে মুসলিম-বিদ্বেষের জাস্টিফিকেশন হিসাবে এটা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে যে ওরাও তো বাংলাদেশে দূর্গা পুজোর প্যান্ডেল ভেঙেছে , ইস্কনের সাধুদের খুন করছে তো আমরা কেন চুপ করে বসে থাকবো!!
এই ভয়ানক মানসিকতা দুই বাংলাকে চিরতরে নষ্ট করে দেবে। বাংলাদেশের মুসলিমদের প্রতি ভারতের বহু মানুষের উচ্চ ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশের মুসলিমরা শিক্ষিত , মুক্তমনা ,পাকিস্তানীদের মতো গোমূর্খ মৌলবাদী নয়-এটাই বেশির ভাগ মানুষ মনে করে ভারতে। এই প্রতিহিংসার মনোভাব থেকে দূরে থাকুন ও নিজের তথা নিজের দেশের কল্যাণ করুন। কবিগুরু বোধহয় আমাদের কথা ভেবেই এই কবিতাটি লিখে গেছেন-
ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।
নাস্তিক সেও পায়ে বিধাতার বর,
ধার্মিকতার করে না আড়ম্বর।
শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,
শাস্ত্রে মানে না, মানে মানুষের ভালো।
বিধর্ম বলি মারে পরধর্মেরে,
নিজ ধর্মের অপমান করি ফেরে,
পিতার নামেতে হানে তাঁর সন্তানে,
আচার লইয়া বিচার নাহিকো জানে,
পূজাগৃহে তোলে রক্তমাখানো ধ্বজা, --
দেবতার নামে এ যে শয়তান ভজা।
অনেক যুগের লজ্জা ও লাঞ্ছনা,
বর্বরতার বিকারবিড়ম্বনা
ধর্মের মাঝে আশ্রয় দিল যারা
আবর্জনায় রচে তারা নিজ কারা। --
প্রলয়ের ওই শুনি শৃঙ্গধ্বনি,
মহাকাল আসে লয়ে সম্মার্জনী।
যে দেবে মুক্তি তারে খুঁটিরূপে গাড়া,
যে মিলাবে তারে করিল ভেদের খাঁড়া,
যে আনিবে প্রেম অমৃত-উৎস হতে
তারি নামে ধরা ভাসায় বিষের স্রোতে,
তরী ফুটা করি পার হতে গিয়ে ডোবে --
তবু এরা কারে অপবাদ দেয় ক্ষোভে।
হে ধর্মরাজ, ধর্মবিকার নাশি
ধর্মমূঢ়জনেরে বাঁচাও আসি।
যে পূজার বেদি রক্তে গিয়েছে ভেসে
ভাঙো ভাঙো, আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে --
ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো,
এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো।
-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এক ধর্মীয় ভেদাভেদহীন ও মুক্ত চিন্তার পীঠস্থান ভারত ও বাংলাদেশের কামনা করি।
(পাকিস্তান মায়ের ভোগে গেছে ওদের জন্যে শুভকামনা করে আর বিশেষ লাভ নেই )
জয় হিন্দ ,জয় বাংলা
mahbubalom publisher