Answered 2 years ago
ধর্মের নামে আবার কী ভন্ডামি হবে? ধর্ম ব্যাপারটা নিজেই তো ভন্ডামি। বিশেষ করে আব্রাহামিক ধর্মগুলোতে (ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি) যে ঈশ্বরের ধারণা দেওয়া, তাকে যদি একটি স্বত্ত্বা হিসেবে ধরে নিই, তাহলে এই স্বত্ত্বাটিই বিরাট ভন্ড। কীভাবে?
তার বান্দারা পাচবেলা তাকে সিজদা না দিলে তিনি প্রচন্ড রুষ্ট হন। গরীবদের না খেয়ে থাকার কষ্ট বুঝার জন্য তিনি ধনী গরীব সবার জন্য রোযা ফরজ করে দেন, অথচ গরীবরা তো ক্ষুধার কষ্ট করেই, তাদের কষ্ট উপলব্ধি করার জন্য আবার তাদেরই কেনো রোজা রাখতে হবে?
তিনি নাকি মুমিনের কলবের চেয়েও কাছে থাকেন, তাহলে লাখ টাকা খরচ করে রুক্ষ মরুর বুকে হজ্ব এ কেন যেতে হবে? যেই হজ্বের অর্থ সরাসরি সৌদি রাজপরিবারের কোষাগারে জমা হয় এবং তারা নিজেরা সেই অর্থে বিল গেটস জেফ বেজোসদের চেয়েও বিলাসী জীবনযাপন করেন, অনেকগুলো করে বিয়ে করেন, এবং হুথি বিদ্রোহীদের দমনের নামে সেই হজ্বের টাকায় কেনা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে প্রায় প্রতিদিনই নিরীহ ইয়েমেনি নাগরিকদের হত্যা করেন;যেই ইয়েমেনি নাগরিকেরা যারা ধর্মের দিক দিয়ে মুসলমান।
এই ঈশ্বর তার ধর্ম প্রচারকদের ব্যাপারে খুবই পক্ষপাতিত্ব করেছেন। চৌদ্দটি বিয়ে করে যৌন লালসা পূরণ করতে সহায়তা করেছেন, যুদ্ধবন্দিনি দাসী ধর্ষণ করতে তাকে অনুমতি দিয়ে ধর্মগ্রন্থের আয়াত নাজিল করেছেন, নবী রাসুলদের অলৌকিক ক্ষমতা দিয়েছেন, আবার ধর্মগ্রন্থে বলে দিয়েছেন ইসলামে কোনো শ্রেণীবৈষম্য নেই!!! নবী রাসুলদের অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে তো তিনিই অন্যান্য মুসলমানদের সাথে নবী রাসুলদের পার্থক্য তৈরি করে রেখেছেন।
লাখ লাখ মানুষকে জন্মান্ধ করে পৃথিবীতে পাঠান,পংগু করে পাঠান, আবার তাদের কাছে থেকেও মনমতো ইবাদত না পেলে রাগ করেন, অনন্তকাল ভয়ংকর আগুনে পোড়ানোর ভয় দেখান। তার শেষ ধর্মগ্রন্থ কেবল নাজিল করেছেন একটি বিশেষ ভাষায়, যার একেকটি শব্দের কম করে হলেও পচিশটি করে অর্থ, কোটি কোটি মানুষকে ভিন্ন ধর্ম পালন করা পরিবারে জন্ম দিয়ে আবার তাদের কাছে তার ধর্মগ্রন্থের বাণী না পৌছে দিয়েই নিজের শর্তহীন আনুগত্য/ইবাদত চান। মানুষই কষ্ট করে ফসল ফলায়, অক্লান্ত চেষ্টায় বিভিন্ন প্রাণঘাতি রোগের ঔষধ আবিষ্কার করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম খবর জেনে সতর্ক থাকে, কিন্তু যাবতীয় সব ক্রেডিট তার নাম ভাংগিয়ে ব্যবসা করা মোল্যারা তাকে দিয়ে দেন। শয়তান সৃষ্টি করে নাকি তিনি মানুষকে প্ররোচিত করে পরীক্ষা করেন ! আবার আবু লাহাবের সৃষ্টির হাজার হাজার বছর আগে সংরক্ষণ করা কুরানে আবু লাহাবকে লা'নত দিয়ে আয়াত লিখে রাখেন!
তবে আশার কথা হলো আজকের দুনিয়ার অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে মানুষ যখন বিভিন্ন নিরপেক্ষ উতস থেকে ধর্ম, ধর্মের উতপত্তি ইত্যাদি জানতে পারছেন, তখন চালাক আর সুবিধাবাদী ধর্মগুরুদের দ্বারা সৃষ্ট এই কাল্পনিক 'ঈশ্বরের' উপর বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে মানবিক ও সংবেদনশীল মানুষ হয়ে উঠছেন।
rahdulislam publisher