Answered 2 years ago
এতো টুক পর্যন্ত ঠিক ছিলো সবকিছু। কিন্তু, জার্সির ডিজাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসার পর সবাই নতুন ইস্যু বের করে ফেলে।
প্রথম ইস্যুটা ছিলো, 'জার্সিতে বাংলাদেশের নাম নাই কেনো?'
তুমুল আলোচনা সমালোচনা চলে ফেসবুকে। কয়েকঘন্টা পর, বিসিবি সমালোচনার মুখে পরে, জার্সিতে বাংলাদেশের নাম সম্বলিত একই জার্সির ডিজাইন আবার গণমাধ্যমে পাঠায়।
ছবিঃ ডান পাশের জার্সি ডিজাইন নিয়ে সমালোচনার পর, বাংলাদেশ নাম সহ বাম পাশের জার্সি ডিজাইন করে বিসিবি। ছবিসূত্রঃ বিসিবি
কিন্তু, সমালোচকদের তো টপিক চাই। তাই, তারা তারা যেকোন কিছুকেই ইস্যু বানিয়ে ফেলে।
দ্বিতীয় ইস্যুটা হলো, বেক্সিমকো (স্পন্সর) এর নাম এতো বড় করে কেনো? আর বাংলাদেশের নাম ছোট কেনো? অনেকে আবার এটাও বলছিলো, বেক্সিমকোর নাম বাংলাদেশের নামের উপরে কেনো?
মানে দেশ-প্রেম সবার উতলে উঠছে।
অথচ, ক্রিকেটে একাধিক উদাহরণ আছে, যেখানে ফ্রন্ট সাইডে দেশের নাম-ই নাই, শুধুমাত্র স্পনসরের নাম। তাই বলে কি তাদের দেশপ্রেম নাই? নাকি নাম না থাকার কারণে, মাঠে কোন দল খেলছে বুঝতে অসুবিধা হয়??
ছবিঃ প্রথম সারির চারটি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক জার্সি। সামনে কোথাও বড় করে তাদের দেশের নাম নেই। তাই বলে কি, ক্রিকেট খেলা দেখে এমন কেউ চিনতে পারবে না, এরা কারা? ছবিসূত্রঃ ফেসবুক
আমার যতটুকু ধারণা (আমি ভুলও হতে পারি), স্পন্সরের জন্য হয়তোবা আইসিসি কতৃক নির্দিষ্ট স্লট থাকে। এবং স্লট অনুযায়ী স্পন্সরশিপ দিয়ে বিসিবি টাকা নেয়।
তাই, কোথায়, কোন স্পন্সরের নাম থাকবে, উপরে থাকবে নাকি নিচে থাকবে, সেটা একান্তই স্পন্সর সংশ্লিষ্টদের ব্যাপার।
আর, দেশের জার্সিতে দেশের নাম না থাকার উদাহরণ অনেক আছে। এমনকি, বাংলদেশেও এর আগে এমন হয়েছে।
ছবিঃ বাংলাদেশের জার্সিতে সামনের দিকে শুধুই স্পন্সর (গ্রামীণফোনের) নাম। ছবিসূত্রঃ গুগল
তাই এই বিষয়ে আমার মতামত হলো, জার্সিতে দেশের নাম থাকা বা না থাকা নিয়ে অঝথা দোষারোপ করা, রাজাকার বলা, দেশদ্রোহী ট্যাগ দেওয়া বাদ দিতে হবে।
কারণ, এই দেশের জার্সিতে নাম থাকা নিয়ে যারা ফালতু ইস্যু তৈরি করেছে, এদের শতভাগ যদি প্রকৃতপক্ষে দেশকে ভালোবেসে, একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করতো, তাহলে দেশে এতো চুরি, চামারি, খুন, ধর্ষণ হতো না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
rashedulrana publisher