Answered 2 years ago
আমি ভারতীয় হিসেবে এই সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারি না। আপনি প্রশ্ন করেছেন বলে ধন্যবাদ। ২০২৩ এ বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন এইরকম ই জানি। সম্ভবত ৩০ শে ডিসেম্বর। কিন্তু এর বেশি কিছু জানি না। প্রথমত আপনাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বোধহয় তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোনোদিনই ছিল না। কিন্তু বিচারব্যবস্থা, ক্যাগ, অবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র (জরুরী অবস্থার কয়েকবছর বাদ দিলে!), অরাজনৈতিক সেনাবাহিনীর মতোই নির্বাচন কমিশন ও ভারতের একটি গর্ব করার মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। প্রথম নির্বাচন কমিশনার শ্রী সুকুমার সেন এর নির্বাচন পরিচালনা দেখে সুদান তাঁদের দেশে নিয়ে গিয়েছিল। ওনার নামে সেদেশে একটি রাস্তার নাম আছে শুনেছি। শ্রী টি এন শেষন তো বোধ হয় বিশ্ব বিখ্যাত! যতই তিনজন নির্বাচন কমিশনার করা হোক, আর নিজের পছন্দ মতো কাউকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হোক না কেন, পদে আসীন হলে ভারতের CECI কারোর ধার ধারেন না! সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে আরম্ভ করে বুথ স্তরের রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা পর্যন্ত নির্বাচনের সময় তটস্থ হয়ে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে বাধ্য হন। ফলে আমাদের এখানে রাত্রে ভোট হয় না আর ভোটের রেজাল্ট খারাপ হলে দু একটি সুবিধাবাদী দল ছাড়া রিগিং সন্ত্রাসের বড় একটা কেউ অভিযোগ ও করে না। ব্যতিক্রম ওপারের মতোই এপার বাংলা!!! কংগ্রেসকে কখনোই মোদীর বিরুদ্ধে বা অটলবিহারী বাজপেয়ী কে কখনোই মনোমোহন সিং এর বিরুদ্ধে রিগিং করে জেতার অভিযোগ করেছেন বলে শোনা যায় নি। বরং নবনির্বাচিত দলের নেতাকে বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী যেকোনো রাজ্যের যেকোনো দলের নবনির্বাচিত নেতা (ভাবী মুখ্যমন্ত্রী) কে আনুষ্ঠানিক ভাবে হলেও অভিনন্দন জানান এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের মহিমা! আপনারা সেই ঐতিহ্য গড়ে তুলতে পারেননি। ধন্যবাদ।
indira publisher