Answered 2 years ago
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা কলকাতা থেকে সব করতো। বাংলাদেশে যেহেতু পাকিস্তানি ঘাটি ছিলো তাই স্ট্রেটেজিক কারনে ঢাকায় অস্থায়ী রাজধানী করা হয় নি। বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী প্রথম দিকে কুষ্টিয়ার মেহেরপুর করা হলেও পরে প্রবাসী সরকারের রাজধানী করা হয় ভারতের কলকাতা শহরকে।
কলকাতা শহরটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অলিখিত রাজধানী হয়ে যায়। সেখান থেকেই সব কিছু নিয়ন্ত্রন হতো। ঢাকা অনেক দূরে হয়ে যায় কলকাতা থেকে কিন্তু কুষ্টিয়া ছিলো ভারতের বর্ডারের কাছে। কলকাতায় যাওয়া আসা সহজ করার জন্য কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে প্রথম দিকে অস্থায়ী রাজধানী করা হয় কিন্তু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিলো কলকাতায়। বাংলাদেশের শিল্পীরা সেখান থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম করতো। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারাও কলকাতা থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করতো। প্রবাসী সরকারের সব কর্মকান্ড পরিচালিত হতো ভারতের কলকাতা শহর থেকে।
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম পরিচালিত হত কলকাতা থেকে।
আবার তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের বহু বুদ্ধিজীবী, লেখক - শিল্পীরা যেমন ওই কমাস কলকাতাতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন।
যুদ্ধের সময়ে ভারতের সামরিক বাহিনী অথবা বিদেশ দপ্তরও প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহরের মাধ্যমেই।
সেই প্রবাসী সরকারকে একটি ভবন দিয়েছিল ভারত সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যেমন মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য রণাঙ্গনে গেছেন, তেমনই যুদ্ধের সময়ে যারা ভারতে চলে এসেছিলেন, তাদের জন্যও অবারিত দ্বার ছিল কলকাতার বহু বাড়িতে। স্বল্প পরিচিত, একেবারেই অপরিচতদেরও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যেত অনায়াসেই।।
rashidulislam publisher