Answered 2 years ago
এখানে আপনার হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে। কাতার বিশ্বিকাপের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করছে না। দেশটি আসলে নিজেদের সংস্কৃতি প্রচার করছে।
তারা যদি ইসলাম প্রচারই করতে চাইতো হবে বিটিএস বা শাকিরাকে না এনে কুয়েত থেকে ইমাম মিশরি রশীদ আল-আফাসিকে নিয়ে এসে নাশিদ আর কোরআন তিলাওয়াত করাতো।
তাহলে কাতার কী করছে?
কাতার আসলে নিজস্ব সংস্কৃতি প্রচার করছে। কাতার শতভাগ মুসলমান নাগরিকদের একটি ক্ষুদ্র জনসংখ্যার দেশ। তারা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের চেয়ে শরীয়াহ আইন বেশি অনুসরণ করে।
দোহা'র মরুভূমি
ফলশ্রুতিতে কাতারকে আপনি ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সাথে তুলনা করতে পারবেন না। এখন বিশ্বকাপ ভারতে হলে আপনি কি বলতেন ভারত হিন্দুত্ববাদ প্রচার করছে? নিশ্চয়ই না। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতিই হিন্দুত্ববাদের সাথে সম্পৃক্ত।
দোহায় অবস্থিত ইসলামিক জাদুঘর
কাতার আরও একটি কাজ করছে। তা হচ্ছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবকে টেক্কা দিয়ে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। আরব আমিরাতেরও একই লক্ষ্য।
কাতার জাতীয় জাদুঘর
লক্ষ্য করলে দেখবেন কাতার মুসলিম বিশ্বকে আকৃষ্ট করার জন্য জাদুঘর সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে এবং আরও করবে।
সামরিক দুর্গ আল কুত
ভবিষ্যতে দেশটি বৈশ্বিক রাজনীতিতেও প্রভাব রাখার চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যে তালেবানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি করিয়ে দেশটি কূটনৈতিক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে।
lionahmed098 publisher