Answered 2 years ago
কয়েক বছর ধরে একটি কথা অনেক শুনি,
অন্যের জুতায় দাড়িয়ে পৃথিবী দেখা জানতে হবে।
প্রথম দিকে বাক্যটির অর্থ বুঝতাম না। অন্যের জুতায় দাঁড়িয়ে কিভাবে দুনিয়া দেখা যায়? পৃথিবী দেখার অর্থ কী হতে পারে?
এখন বুঝি, বিভিন্ন বই বিভিন্ন লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যা কিনা ঠিক সেই জুতার উপর দাঁড়িয়ে পৃথিবী দেখার মতোই। একেকটি বই নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে, একেকটি বই মস্তিষ্কের কোথায় কোথায় যেন লুকিয়ে থাকা ডট বা বিন্দুগুলোকে কানেক্ট করার চেষ্টা করে।
এই যে যেমন, পাওলো কোয়েলহোর দ্য জাহির বইটি পড়ে আমি জেনেছিলাম, কেন মহাকাশের স্পেস শাটলগুলোর ইঞ্জিনের প্রস্থ ১৪৩.৫ সেন্টিমিটারের মতো হয়ে থাকে কেন সেটি ১৫০ কিংবা ১৪০ সেন্টিমিটারের সাধারণ সংখ্যা হলো না। বই পড়েই আমি জেনেছিলাম, ধর্মের উৎপত্তি কিভাবে হয়। বই পড়েই আমি জেনেছিলাম, নিজেকে কিভাবে নতুন করে চেনা যায়।
ফিকশন বই তেমন পড়া হয় না, উপহারে পেয়েছিলাম বলে পড়েছিলাম দ্য জাহির। দারুণ বই।
২০১৪-১৫ সালে প্রথম আমি “বই পড়া” পড়ার মতো করে শেখার চেষ্টা করি। তার আগের পঁচিশটি বছর কি করেছি কিছুই মনে নেই। এরপরের সময়টুকু মনে করতে পারি। এক একটি বছর এক একটি বই আমার মস্তিষ্কে একেকটির ডটকে আরেকটি ডটের সঙ্গে যুক্ত করেছে। কখনো ডট থেকে নতুন একটি লাইন তৈরি করেছে।
বই পড়লে মস্তিষ্কের ভেতর কি হয় জানি না, কিন্তু বাইরে দারুণ উদ্দীপনা তৈরি হয়।
riponmollah publisher