Answered 2 years ago
আমি পুরীতে দু বৎসর ও ভুবনেশ্বর শহরে ছ মাস ছিলাম।ঝরঝরে ওড়িয়া বলতে পারি। গত 23ডিসেম্বরে আবার চার দিনের জন্য ঘুরতে গেছিলাম। প্রথমেই বলব পূর্ণিমার সময় পুরী গেলে রাতের জোৎস্না আলোয় মন্দির দেখতে খুব সুন্দর লাগে।মোটা মুটি সকাল পাঁচটায় পুরী পরিক্রমায় বেরুতে হবে।সকালে স্থানীয় লোকেরা মন্দিরে প্রণাম করে দিনের শুরু করে।তারপর সমুদ্রে সূর্যোদয় দেখতে হবে।ওখানে বাসে সাইট সিনের ব্যাবস্থা আছে।350 টাকা লাগে। সকাল আটটার আসে পাশে যাত্রা শুরু করে প্রথমে যায় কোনারক।সেখানে দের ঘন্টা বাস দাড়ায়। সাথে ভাত খাবার সময় নিয়ে। এর পর বাস যাবে ঢৌলি গিরী, এটা একটা বৌদ্ধ স্তূপ।পাশে কলিঙ্গ নদী , যেখানে কলিঙ্গের যুদ্ধ হয়েছিল। তারপর যাবে লিঙ্গরাজ মন্দির। এটা পুরাতন ভুবনেশ্বর এ। এর পর যাবে নন্দনকানন। এটা একটা উন্মুক্ত চিরিয়াখানা। এখন থেকে চারটার সময় রওনা দিয়ে পুরীতে সন্ধ্যায় পৌঁছবে। এত গেল রুটিন টুর।আমি বলব কোনারক এর জন্য একটা আলাদা দিন রাখতে। পুরী তে মাসীর বাড়ির পাশ থেকে কোনারাক যাবার বাস ছাড়ে।ভাড়া চল্লিশ টাকা।প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। সরা সরি কোনাড়ক না গিয়ে চন্দ্র ভাগা নেমে যান। এখানে নিরিবিলিতে বঙ্গোপসাগর উপভোগ করুন। তার পর হেঁটে যান কোনারক। দূরত্ব চার কিমি।দু পাশে হরিণের অভয়ারণ্য।নির্জন বনের মাঝে মসৃণ রাস্তা।খুব উপভোগ্য।এরপর সারাদিন কোনার্কে ঘুরে বিকাল চারটার আশপাশে পুরীতে রওনা দিন। বুঝবেন কি উপভোগ্য দিনটা গেল। এর পরও আরো অনেক ঘোরার জায়গা আছে ওড়িস্য। তে।অবশ্যই চিলকা যাবেন বিশ্বের সব থেকে বড় সামুদ্রিক লেক।এখানে শীত কালে পরিযাই পাখির মেলা বসে। উপভোগ করার মত মন থাকলে প্রাণ ভরে ঘুরবেন। অবশ্যই ট্রেনে যাবেন এখন স্লিপার ক্লাসে ভাড়া 350 টাকা।হোটেল মোটা মুটি পাঁচশ থেকে শুরু। আরো বিস্তারিত জানতে হলে আমার মেইল আইডি তে যোগা জগ করবেন। photowala1963@gmail.com.
rashedrimon publisher