Answered 2 years ago
বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ফাহিম সালেহ একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা ছিলেন। তাকে বাংলাদেশের মার্ক জাকারবার্গও বলা হতো।
তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে তিনি অল্প বয়সে মিলিয়নিয়ারও হয়েছিলেন।
ফাহিম পরলোকে চলে যাওয়ার পর দুঃখ ও বেদনায় আমি প্রায় প্রাণহীন হয়ে পড়ি। ঘুমের ওষুধ খেয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব ঘুমিয়ে থাকতাম। ভাবতাম— ফাহিমকে ছাড়া কীভাবে জীবন চলবে? সবার জীবনেই তো একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। অনেকে তাদের সন্তানদের ভালোভাবে বড় করার চেষ্টা করেন, অনেকে তাদের পেশাজীবনে আরও উন্নতি করতে চান। অনেকে আবার টাকা-পয়সা উপার্জনের মাঝে জীবনের উদ্দেশ্য এবং শান্তি খুঁজে পান। আমি সেরকম কোনো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না।
-সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ফাহিম সালেহের বাবা
(সূত্রঃ ডেইলি স্টার, ২৬ এপ্রিল ২০২১)
কলম্বিয়ার বিজনেস মিডিয়া নাইরামেট্রিকস ফাহিম সালেহ স্মরণে লিখেছে, শৈশব থেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের পথ বেছে নেন ফাহিম। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগ করেন তিনি। ফাহিম সালেহর লিংকডইন প্রোফাইল বলছে, ৩৩ বছরের জীবনে ১৫ বছর উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে পাঠাও, গোকাডা, জোবাইক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সালেহ ম্যানহাটন ভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদারও ছিলেন। বাংলাদেশে বড় ধরনের প্রযুক্তি উদ্যোগের উদাহরণ টানতে গেলে সবার আগে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ার কোম্পানি পাঠাওয়ের নাম আসে। বিশ্বজুড়ে এ কোম্পানি বেশ পরিচিতিও পেয়েছে।
akhikhatun publisher