Answered 2 years ago
১৯৯৬ সালে নির্বাচনে আমাদের এলাকায় আওয়ামী লীগ উচ্চ পদস্থ এক সেনা কর্মকর্তা কে মনোনয়ন দেয় ।
বহু আশা নিয়ে মানুষ ভোট দেয় । অনেক আশা করেছিল সবাই।
কিন্তু পাশ করার পরে দেখা গেল ভদ্রলোক মানুষের সাথে হ্যান্ডশেক পর্যন্ত করেন না।
হোটেলে ক্ষেতে আসলে বাসা থেকে গ্লাস নিয়ে আসেন।
উন্নয়ন ত দূর দেখা পাওয়া ই দুস্কর হয়ে পড়ে।
ভারত পাকিস্তান ভাগের আন্দোলন এই পূর্ব বঙ্গেই শুরু হয় পরে বিহারে পরে অন্যত্র ছড়ায়।
বহু আশা নিয়ে দেশভাগ হয় ।
উল্লেখ্য দেশভাগে দলিত হিন্দু দের বিশাল সমর্থন ছিল। এরা পূর্ববঙ্গে র মোট হিন্দুর এক তৃতীয়াংশ ছিল।
পূর্ব বঙ্গের মানুষ আশা করেছিল এইবার বুঝি গোলামী র অবসান হবে ।
কিন্তু মানুষ লক্ষ করল শুধু শোসকের পরিবর্তন হয়েছে।
অতীতে যে ব্যবসা গুলো মাড়োয়ারী রা করত। সেটা দখল করে নিল কথিত উর্দু জনতা ।
শিক্ষা শিক্ষা অফিস আদালতে হিন্দু দের আধিপত্য ছিল, সেটারও দখল নিল বিহারী রা ।
রাতভর উদ্দাম পার্টি করত কথিত আশরাফ বংশীয় রা দিনে এসে ধর্মের স্তবক দিত ।
সেই বাঙালি সংস্কৃতি কে হিন্দু সংস্কৃতি বলে অপমান করতে শুরু করল ।
যদিও তাদের বাপ দাদা আসমান ফেটে বের হয়েছিল কিনা কে জানে।
ঘটনা: দরবেশ বাবা র পিতা ফজলুল হক CSP ছিলেন।
আমেরিকা থেকে স্যানিটেশন এলে । তিনি পূর্ব বঙ্গের জন্য ভাগ দাবি করেন।
জবাবে পাঞ্জাবি নেতারা জানান তোমার তো কলা গাছের নিচে ই প্রাকৃতিক কর্ম সারতে পার ।স্যানিটৈশন দিয়ে করবে ।
বাঙালিদের নাকি কোন ইতিহাস নেই বলে অপমান করা হল ।
যদিও ১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তান নামটাই ছিল না।
অথচ গৌড় নামে ৫৯০ সালে বাংলার আবির্ভাব হয় ।
একদিকে শোষণ অন্যদিকে অপমান।
পরবর্তী তে যা হ,ওয়ার তাই হল ।
৩৯৫ বছর আগের ভুল শুধরানো হলো।
১৫৭৬ সালে রাজমহলের যুদ্ধে বেশ্যা আকবরের কাছে যে বাংলা পরাধীন হয়েছিল সেটা ফেরত এল ১৯৭১ এ ।
এখানে বলা বাহুল্য পাকিস্তান ভারত আক্রমনের পর,ই ভারত পূর্ব বঙ্গে আক্রমন শুরু করে।
zahirahmed publisher