বিবাহিত কোন ব্যক্তির (নারী বা পুরুষ) স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকান্ডকেই আমরা পরকীয়া বলে জানি। এই পরকীয়া সম্পর্কে প্রতিটা মানুষের মতামত এক হবেনা। এখানে আমি আমার মতামতটাই দিচ্ছি, যা আপনার সাথে নাও মিলতে পারে।
প্রথমত আমরা বিবাহ করি, যাতে পৃথিবীতে মনুষ্য সভ্যতা টিকে থাকতে পারে এবং যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা না সৃষ্টি হয়। অর্থাত যদি আমরা বিবাহ ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করি তাহলে, স্বামী স্ত্রী একে অপরের ওপর যে অধিকার পেতো সেটা এখানে থাকবেনা। অর্থাত এই যৌন মিলনের ফলে যে ফসল ফলবে সে ফসলের বাবা মা'র পরিচয় কেউ দিতে রাজী হবেনা। আর লালন পালন তো অনেক দূরের কথা। একজন এরকম সন্তানও ঠিকমতো জানবেনা তার বাবা মার পরিচয় কি। অর্থাত সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে বা একটা সুন্দর পরিবার গঠনের ক্ষেত্রে আজকে আমরা যেটা দেখছি সেটা থাকবেনা । আর তাই আমরা বিবাহকে প্রাধান্য দিয়েছি। আর যদি বিবাহের পরেও ঠিক এমনই কর্মকান্ড চলতে থাকে তাহলে সেই একই সমস্যার সৃষ্টি হবে সমাজে।
অবশ্য আজকের দিনে বেশিরভাগ মানুষই চাই পরকীয়া করতে। কিন্তু আবার তার সঙ্গী/সঙ্গিনী পরকীয়া করুক এটা সে চাইনা। আর এটাও সে চাইবেনা যে, তার মা বোনও পরকীয়া করুক। অর্থাত এখান থেকেই প্রমাণিত হয়, যে পরকীয়া করে তারও বিবেক বলে যে এই কাজটা খারাপ।
আর যদি কেউ এমনটা বলে যে, তার সঙ্গী/সঙ্গিনী বা মা বোন পরকীয়া করলেও তার খারাপ লাগবেনা তাহলে, সে হবে শূকরের মানসিকতার। অর্থাত শূকর তার সঙ্গিনীর সাথে যৌন সম্পর্ক করার জন্য অন্য শূকরকে আমন্ত্রন জানায়। অর্থাত এই ধরনের মানসিকতাকে মানুষের পর্যায়ে ফেলা যায় না।
ahmedsakib publisher