পদার্থের অবস্থা তিনটি- কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়। মজার ব্যাপার হলো, পদার্থের আরও একটি অবস্থা আছে। সেটাকে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বলে। নাম প্লাজমা অবস্থা।
আয়ন এবং ইলেক্ট্রনের সমন্বয়ে গঠিত গ্যাস হিসাবে প্লাজমাকে চিন্তা করা যেতে পারে এবং এ আয়নিত গ্যাসকে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বলা হয়। এটা অনুমান করা হয় যে, দৃশ্যমান মহাবিশ্বের ৯৯% প্লাজমা দিয়ে গঠিত। অবশিষ্ট ১% -এ রয়েছে গ্রহাণু, ধূমকেতু এবং গ্রহ যারা কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থের তৈরি। পদার্থের এই অবস্থার নামই হলো প্লাজমা। প্লাজমা আসলে ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক আয়নের মিশ্রণ।
মার্কিন বিজ্ঞানী আরভিং ল্যাংমুয়ার প্রথম প্লাজমা শব্দটির প্রচলন করেন। প্লাজমা হলো উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নিত গ্যাস, যেখানে মুক্ত ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক আয়ন প্রায় সমপরিমাণে থাকে। প্লাজমার কণাগুলি আয়নিত বলে সাধারণ গ্যাসের সঙ্গে এর আচরণগত কিছু পার্থক্য আছে। তবে গ্যাসের মতোই প্লাজমার নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই। চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে প্লাজমা পদার্থ ফিলামেন্ট, বীম বা দ্বি-স্তর গঠনে পরিণত হতে পারে। যেহেতু এর সকল কণা বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত, বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রের সাহায্যে তাই প্লাজমাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ranikhatun09 publisher