Answered 2 years ago
এই মানুষটি আমার শিক্ষক।
প্রায় চার দশকের জীবনে কেউ যদি আমার একটা মাত্র বলার মত অর্জনের কথা বলে সেটা হচ্ছে, আমি উনার কাছে একটা কোর্সে এ মাইনাস পেয়েছিলাম। উনি বেশ বড় একটা বিশ্লেষণাত্মক ইমেইল লিখেছিলেন, ওটা প্রিন্ট করে উনার স্বাক্ষর নিয়ে এসেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখাবো বলে। বলার মত আর কোনো অর্জন আমার নাই, শুধু এটাই আছে-আমি অমর্ত্য সেনের ছাত্র।
ভারত বিশ্বের বুকে যে কয়েকজন "মহামনীষীর" জন্ম দিয়েছে, তার মধ্যে একজন এই অমর্ত্য সেন।
হার্ভার্ডের রাস্তায় ঢিল মারলে ওটা কোনো নোবেল লরিয়েটের মাথায় পড়ার সম্ভাবনা আছে, কাজেই, শুধু নোবেল পুরষ্কার অমর্ত্য সেনের মূল্যায়নের মাত্রা নয়। উনি ১৯৫৭ সালে প্রথম পেপার লিখেছিলেন, এই ২০২৩ এও কর্মরত আছেন। মানে, একটা মানুষ ৬৬ বছর ধরে একাডেমিয়াতে এ্যাকটিভ রয়েছেন।
অর্থনীতিতে উনার অবদান সম্ভবত সবচাইতে কম। উনি দর্শনে এবং জুরিসপ্রুডেন্সে যে অবদান রেখেছেন, এটা খুব কম মানুষই অনুধাবন করে। যতদিন পৃথিবীতে দর্শন, অর্থনীতি আর জুরিসপ্রুডেন্স থাকবে, মহামতি অমর্ত্য সেনের নাম ততদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বিশ্বের শুদ্ধতম মস্তিষ্কের একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে আজ নানাভাবে অপমান করা হচ্ছে। ৮৯ বছর বয়েসী এই জীবন্ত কিংবদন্তীর বসতবাড়ি নিয়ে টান দিচ্ছে ইতরের দল।
rajibul publisher