Answered 2 years ago
দেলোয়ার হোসেন সাঈদী চিৎকার করে করে বলেছিলেন আমি রাজাকার নই, বিশ্বাস করুন আমি রাজাকার নই।দেখুন।
নবী ইউসুফ বলেছিলেন আমি ওই মহিলার সাথে খারাপ কাজ করি নি। দেখুন
।
আমরা জানি অনেকেই মিথ্যা নবুওত দাবি করেছিল, নিজেকে সাধু দাবি করেছিল বিলাশ বহুল জীবন যাপনের জন্য। পৃথিবীতে এমন হাজার হাজার উদাহারন আছে এমনকি এখনও। কিন্তু মুহাম্মদ (স) নবুওয়তের আগের জীবন অনেক বিলাশ বহুল ছিল।
তিনি বিয়ে করেছিলেন ২৫ বছর বয়সে একজন ধনি মহিলাকে যার নাম খাদিজা (র) ।চাইলে সারাজীবন পায়ের উপর পা তুলে খেতে পারতেন কিন্তু নবুওয়ত পাওয়ার পরের জীবনটা ছিল তার খুবই কষ্টের।
সূরা আহযাব আয়াত ২৮ এবং ২৯
আপনার স্ত্রীদের বলুন যদি তারা চায় এই দুনিয়ার সুখ চাকচিক্য, আমি তোমাদের মুক্ত করে দিব। তোমরা তা করতে পারো আমি তোমাদের অনেক সম্পপদ দিব । কিন্তু যদি আখিরাতের সম্পদ চাও তাহলে তা আখিরাতে তোমাদের দেয়া হবে।
যুক্তি দিয়ে দেখলে পাবেন যদি কেউ এরকম হয় তাহলে তার পোশাক খাওয়া দাওয়া সম্পুর্ন অন্য রকম থাকত। কিন্তু মুহাম্মদ ( স) নিজে কাপড় ধুতেন । নিজে কাপড় সেলাতেন, নিজেই নিজের জুতা সেলাই করতেম . ঘরের সব কাজ নিজেই করতেন, মাটিতে বসে খেতেন। তিনি যখন বাজারে যেতেন সাথে বডিগার্ড থাকত না । সরলতা আর নম্রতার বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। যে কেউ দাওয়াত করলেও গ্রহন করতেন হোক সে দরিদ্র মানুষ। যা খাবার দেয়া হত তিনি খেতেন । এসব কারনে তার শত্রুরাও বলাবলি করত যা পবিত্র কোরানে আছে আয়াত।
আরও তারা বলে, ‘এ কেমন রাসূল’ যে খাওয়া-দাওয়া করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে; তার কাছে কোনো ফিরিশতা কেন নাযিল করা হল না, যে তার সঙ্গে থাকত সতর্ককারীরূপে?’।
উনি যদি সত্য নবী না হত সারা পৃথিবীময় সবাই তাকে ফলো করত না। আপনি দেখুন না যারা মিথ্যা নবী দাবী করে তাদের কোন নাম গন্ধোও পাই না। আর পৃথিবীর ইতিহাসে কোন সত্য নবী ধর্ষণের মত খারাপ কাজ করতে পারেন না।
উনি ত কেবল বিয়ে করেছেন। উনার লজ্জা শরমের জন্য লোকভয় করে তার মন পরিবর্তন করতে চাইতেন।
আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন
করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই
অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে
আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম। " (৩৩:৩৭)
এভাবেই লোক নিন্দা এড়িয়ে ৬ বছরে একজনকে বিয়ে করেন আর ৯ বছরে ঘরে নিয়ে আসলেন। আম্মাজান আয়েশা (র) নবিজি মৃত্যুর পরেও অনেক দিন জীবিত ছিলেন। এতে করে তিনি ইতিহাসের সেরা হাদিস বর্ননাকারি ছিলেন।
সারাজীবন যিনি স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন মেয়ের দিকে না তাকানোকেই প্রচার করেছেন
সূরা নুরের ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে জানেন।
আর আপনারা সেই মানুষের প্রতি ধর্ষণের অভিযোগ দেন।
বিয়ে করা যতদিন ভাল চোখে না দেখবেন, ততদিন আপনার অন্তরে ব্যাধি আছে। আপনারা স্মার্ট বলেন বিয়ে ছাড়া প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করে দৈহিক মিলনকে। আসলে এটা স্মার্টনেস নয়। এটাই নিন্দাযোগ্য, এটা নিয়ে নিন্দা করুন।
আমার দাদার দাদা বিয়ে করেছিলেন ৮ বছর বয়সের মেয়ে, আমার কোন আপত্তি নাই, উনারা সারাজীবন এক জন আরেকজনের পাশে থাকত,কেউ কারো সাথে প্রতারণা করেন নি। আমার দাদাকে কোমেন্টে ধর্ষক বলে যাবেন, রেপিষ্ট বলে যাবেন।
আমার এক দূর সম্পর্কের মামাত ভাই আজ পর্যন্ত অনেক মেয়ের কুমারিত্ব নষ্ট করেছে, অনেকর পেটে বাচ্চা ঢুকিয়েছে, বিচারের সময় সেই বাচ্চার দায় না নিয়ে কিছু টাকা দিল, আর মেয়েটার জীবনে ভাল কোন জীবন সঙ্গি পেল না। আর খবরে শোনা যায় কাজ শেষে মেরে ফেলা হয়। এরা রাজনৈতিক নেতা এদের কোমেন্টে cool bro।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে খারাপ বললেই খারাপ হয়ে যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে এখনো তিনি ১ নাম্বারে
।
আলোর বিপরীত অন্ধকার,
সত্যের বীপরীত মিথ্যা।
ভালোর বিপরীতে -------
নুপুর শর্মা "মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)"-এর নিয়ে এমন মন্তব্য করেছিল যা আমার মুখ দিয়ে আসবে না।
tithikhatun publisher