Answered 2 years ago
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের লক্ষনগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ:
১। আপনার লিঙ্গ শক্ত হবেনা
২। আপনার লিঙ্গ দাড়াবেনা
৩। আপনার যৌনাকাঙ্ক্ষা থাকবেনা
৪। কোন নারীর সংস্পর্শে গেলেও আপনার লিঙ্গের কোন পরিবর্তন হবেনা
৫। কোনভাবেই যৌন সঙ্গম করতে পারবেন না
৬। নারীর শত স্পর্শেও আপনার লিঙ্গের শিথিলতা কাটবেনা।
সাধারণত এই রোগ বয়সকালে হয়ে থাকে। যেমন ৪০ থেকে ৬০ বছরের পুরুষদের এই রোগ হয়ে থাকে। তবে আজকাল খুব অল্প বয়সের ছেলেদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
এই রোগ যতটা না শারীরিক তারচেয়ে বেশি মানসিক। ঠিকমতো চিকিৎসা পেলে এই রোগ ভালো হয়। আজকাল এই রোগের অনেক ঔষধ বাজারে পাওয়া যায়।
সাধারণত পুরুষদের (১) ইরেকটাইল ডিসফাংশন এবং (২) প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন হচ্ছে কমন দুটো রোগ। একটা হচ্ছে পুরুষাঙ্গ ঠিক মত শক্ত হয়না আরেকটা হচ্ছে সহবাসের সময় অতি দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়।
আপনি এগুলোর জন্য যা যা করবেন তা হচ্ছে (১) সঠিক ডায়েট (২) প্রয়োজনীয় ঘুম (৩) নিয়মিত ব্যায়াম (৪) দুঃশ্চিন্তা পরিহার
আপনি যদি ইনস্ট্যান্ট যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে বাজারে অনেক ঔষধ আছে। যেমন: (১) Sildenafil জাতীয় ঔষধ (ক) Aggra 25 mg, 50 mg, 100 mg (খ) Vigorex 25 mg, 50 mg, 100 mg (২) Tadalafil জাতীয় ঔষধ (ক) Intimate 5 mg, 10 mg, 20 mg (খ) Edysta 2.5 mg, 5 mg, 10 mg, 20 mg
বাজারে সিলডেনাফিল এবং টাডালাফিল জাতীয় ঔষধ অনেক গুলো ঔষধ কোম্পানীর পাওয়া যায়। তবে ভালো ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ সেবন করাই নিরাপদ। এসব ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত সেবন করা উচিত নয়। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে।
এবার আলোচনা করি এই রোগের হোমিওপ্যাথিক বা হারবাল ঔষধ নিয়ে। দুটো ঔষধ খুবই কার্যকরী। (১) জিনসেং। এটা হোমিওপ্যাথি মাদার টিংচার। খুবই কার্যকরী। সাইড এফেক্ট নেই বললেই চলে। যেকোনো হোমিওপ্যাথি দোকানে পাবেন।(২) অশ্বগন্ধা। এটাও হোমিওপ্যাথি মাদার টিংচার। এটাও বেশ কার্যকরী। এই ঔষধটিও আপনি কিছু কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষধের দোকানে পাবেন। এটা ভারতীয় ঔষধ। দাম একটু বেশী।
উপরের সবগুলো ঔষধই ইন্সট্যান্ট যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধ। এই রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও বেশ কার্যকরী। আপনি একজন ভালো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ৬ মাস বা ১ বছর চিকিৎসা করুন ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবেন। তবে আপনার যদি হৃদরোগ থাকে এবং ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এই রোগ গুলো অবশ্যই নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
abdulalii publisher