Answered 2 years ago
এটা খুবই মজার একটা ঘটনা। ঠিকমত প্লেস করতে পারলে একটা পানির গ্লাসকেও একটা ১০ তলা বাড়ির সমান দেখাবে। এটা পুরোটাই আমাদের চোখের লেন্সে উৎপন্ন বীক্ষন কোণের কারসাজি। কোনো লক্ষ্যবস্তু চোখে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে বীক্ষণ কোণ বলে। এই বীক্ষণ কোণের কারনেই সূর্য চাঁদের চেয়ে কোটিগুণ বড় হলেও আকাশে আমরা তাদের প্রায় একই সাইজের দেখি।আসুন জেনে নেয়া যাক কেন এমনটা হয়ঃব্যাপারটা আসলে পুরোটাই আপনার চোখের লেন্সের কারসাজি। সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলতে গেলে, এটা আপনার ফিল্ড অফ ভিশনের সাথে সম্পর্কিত। আপনার ফিল্ড অফ ভিশন হচ্ছে ঘাড় না ঘুরিয়ে একেবারে আপনি যতটুকু দেখতে পারেন ততটুকু এরিয়া।
যখন কোন বস্তু আপনার চোখের তুলনামূলক কাছে থাকে, তখন সেটা আপনার ফিল্ড অফ ভিশনের একটা বড় অংশ দখল করে ফেলে, তাই সেই বস্তুটাকে বড় দেখায়।
টেকনিক্যালি বলতে গেলে, আমরা যখন কোন দিকে তাকাই, আমাদের চোখের লেন্স সেই দিকের প্রতিটা বিন্দুর জন্য আমাদের রেটিনায় একটা ফোকাস পয়েন্ট তৈরি করে। কিন্ত আমাদের চোখের ব্যাস তো আর অসীম না, তাই না?
তাই চোখের রেটিনায় তৈরি হওয়া ফোকাস পয়েন্টের সংখ্যারও একটা লিমিট আছে। সব বস্তুকে সেই সসীম সংখ্যক ফোকাস পয়েন্টের মধ্যে জায়গা দিতে গিয়েই বিপত্তি হয়ে যায়, সামনের বস্তুটা বেশি সংখ্যক ফোকাস পয়েন্ট দখল করে রাখে, যার ফলে তার বীক্ষণ কোণের মান বেড়ে যায় আর তাকে বড় দেখায়।
ঠিক একইভাবে অপেক্ষাকৃত দূরে থাকা বস্তুটা বেশি সংখ্যক ফোকাস পয়েন্ট দখল করতে পারে না, ফলে তার বীক্ষণ কোণের মান কমে যায় আর তাকে ছোট দেখায়।
যতই আপনার আর বস্তুর মধ্যে দুরত্ব কমতে থাকবে, ততই এই বীক্ষণ কোণের মান পরিবর্তিত হতে থাকবে আর বস্তুর আকার আপনার কাছে পরিবর্তন হতে থাকবে।
অপটিকসের এই মজার নীতি ব্যবহার করে বেশ কিছু অপটিক্যাল ইল্যুশন বানানো আছে যেগুলো আসলেই ভীষণ চমকপ্রদ। এই বীক্ষণ কোণের বিষয়টা জানা থাকলে মানুষের চোখকে বোকা বানানো মামুলি ব্যাপার। নিচের ছবিটাই তার প্রমান।
ahmedsakib publisher