Answered 2 years ago
বাংলাদেশের সরকার ঢাকা শহরে প্রায় ১৩০ কিমি মেট্রো রেল নির্মান করছে পুরো ঢাকা জুড়ে।
এর মধ্যে ২১ কিমি মেট্রোরেল নির্মান প্রায় শেষ এবং এর অর্ধেক কিমি পথে বর্তমানে যাত্রীসেবা দিচ্ছে মেট্রো।
এমআরটি-৬ নামের এই রুটটি উত্তরা দিয়া বাড়ি থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল অংশের কাজ প্রায় শেষ। শুধু স্টেশনগুলোর ভিতরের কিছু কাজ বাকি।
এই মেট্রো রুটটি বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত সার্ভিস দিচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে ফার্মগেট ও মতিঝিল এই দুটি স্টেশনও চালু হচ্ছে। এই মেট্রো রুটের সব স্টেশন চালু হতে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।
এই মেট্রো পুরোপুরি চালু হলে এই রুটের নিচের রাস্তা ৯০ ভাগ ফাকা হয়ে যাবে। সবাই উপর দিয়েই যাবে। কিছু প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকসা নিচ দিয়ে চলবে।
এছাড়া বর্তমানে আরেকটি মেট্রোরেল হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত। সেই রুটে আবার নারায়নগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত আরেকটি রুট থাকছে। উড়াল ও পাতাল মানে মাটির নিচ দিয়ে সেই মেট্রোরেল চলবে। এটার নির্মানকাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শেষ হতে ৫ বছরের মতো সময় লাগবে।
এ ছাড়া এমআরটি ৫ নামের আরো একটি মেট্রো রুটের নির্মান কাজ শুরু হবে খুব শীঘ্রই। এই ব্যাপারে টিভি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, এই রুটটি সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নতুনবাজারের সামনের ভাটারা পর্যন্ত নির্মান করা হবে।
যারা কমলাপুর থেকে সাভার যেতে চাইবে তারা মিরপুর-১০ এ নেমে যাবে মেট্রোরেল-৬ থেকে। এরপরে আবার দ্বিতীয়বার টিকেট কেটে মিরপুর -১০ থেকে সাভার যেতে পারবে আরেকটি মেট্রোরেল-৫ দিয়ে। আবার যারা বিমানবন্দর থেকে সাভার যেতে চাইবে তারা নতুনবাজারে পাতালরেলের স্টেশনে নেমে আবার আরেকটি স্টেশন ধরবে নতুনবাজার থেকে সাভার পর্যন্ত মেট্রো রুট ৫ এর মাধ্যমে।
এরকম ইন্টাকানেক্টেড মেট্রো রেলের রুট ৫ টা নির্মান হচ্ছে। এই প্রজেক্ট পুরোপুরি সম্পন্ন হলে ঢাকা শহর থেকে বাস উধাও হয়ে যাবে।
ঢাকা শহরের যানজটের একমাত্র সমাধান পুরো ঢাকা শহর জুড়ে মেট্রোরেল নির্মান।
এছাড়া বর্তমানে ৪১ কিমি দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ নির্মান শেষ। এটা দিয়ে বিমানবন্দর থেকে একেবারে যাত্রাবাড়ি ও তারপরে কুতুবখালি পর্যন্ত যাওয়া যাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই।
Suroviislam publisher