Answered 2 years ago
বর্তমান বাংলাদেশে এগুলো আলোচনা করাও পাপ। বইপত্র নিয়ে যত আলোচনা সমালোচনা ছিল, তার মধ্যে কোনটি গুজব ছিল?
কেউ ছাত্রী ভালো হলেই যে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে সুন্দরভাবে মেইনটেইন করতে পারবে, ব্যাপারটা তা নয়। বর্তমানে বই নিয়ে এতটা বিতর্ক সেখানে এই শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে যে কত ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হবে, সেটা শুধু সময়ই বলে দিবে। শিক্ষামন্ত্রী কি ব্যবস্থা নেয়, আপাতত সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার আগেও উনাকে নিয়ে বিতর্ক ছিল।
হয়তো অনেক বলবেন যে, শুধু বইপত্রের বিতর্কের জন্যই কি আপনি অযোগ্য বলবেন? আমার সবথেকে ওনার প্রতি বিরক্ত লেগেছে করোনাকালীন সময়ে। কপালপোড়া HSC Batch 2020 ছিলাম। পরিক্ষা নিয়ে পোলাপানের মাথা খারাপ করে শেষ পযর্ন্ত পরিক্ষাই হলোনা।
চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে কারসাজি করে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি নেওয়ার এ কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তিরা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এর মধ্যে তাঁর নিকটাত্মীয়ও রয়েছেন।
চাঁদপুর-৪ আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেছেন,
ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ৫০০-৬০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছিল অবাধে। এর পেছনে যেহেতু খোদ শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমতা ও তাঁর ভাই-বেরাদর জড়িত, তাই কেউ মুখ খুলছিল না।
আর এই কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভাই জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ, তার মামাতো ভাই ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চাঁদপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী এবং ব্যক্তিগত সহকারী (রাজনৈতিক) টুটুল মজুমদার।
ভাবসম্প্রসারন লেখার সময় সবাই পড়েছিলাম ও লিখেছিলাম, দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। কিন্তু যে শিক্ষাব্যবস্থায় এই প্রবাদটি লিখেছিলাম, আজ সেই শিক্ষাব্যবস্থার তিনি শিক্ষামন্ত্রী !!
seeamkhan publisher