Answered 2 years ago
প্রশ্নটা সত্যি uncommon
আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন নাম পরিবর্তনের ঝক্কি কতটা! আপনার ক্ষেত্রে যা ঝক্কি ডাক্তারদের ক্ষেত্রে সেটা আরো বড়ো ঝক্কি।
মেয়ে ডাক্তার রা তো বিয়ের পরে নিজের পদবিও পরিবর্তন করতে পারেনা, এই আইনি ঝামেলার কারণে। আসলে আমাদের নাম তো মেডিক্যাল কাউন্সিলের খাতায় উঠে যায় … সেখানে পরিবর্তন করা অনেক ঝক্কি ,অনেক অসম্ভব কাজ।এতদ সময়ের মধ্যে কেউ এই কাণ্ড টি করেননি।
এবারে আসি ডাক্তার ছাড়া অন্য জনগণের কোথায়।
ধরুন রাস্তায় লেখা ডাঃ জে কে গুচ্ছাইত। সবাই ভাবলেন বাহ ডাক্তার বাবুর বিশাল একটা গম্ভীর নাম।খুব respectable শুনাচ্ছে।
এই নাম্নী ডাক্তার বাবুই যদি ডাঃ ঝুন্টু কুমার গুচ্ছাইত লেখেন তখন প্রথম যারা দেখছে সে হয়তো ধাক্কা খাবে আর ধীরে ধীরে মনে মনে ভাববে যে " উহঃ কেমন নাম জানি বাপু! সারাতে পারবে কিনা রোগ কে জানে! " তার পরেই দেখলেন আরেকজনের নাম ,তার নাম হয়তো……
ডাঃ সুবর্ণ ভট্টাচর্য্য…..দেখে আর মনে মনে একটা তৃপ্তি হলো সবার যে ….উহঃ ডাক্তারের মতো নাম ।একটা মনের মধ্যে বল কাজ করে।অজান্তেই।তাই না !!
এতে তর্ক চলবে না যুক্তি চলবে না।
এবারে শুনুন ,এই ডাক্তারের নাম বিচারী প্রচুর লোক।অনেকসময় দেখা যায় এই নাম বিচারীরা ডাক্তার বাবু কে বিশ্বাস করতে পারছে না কারণ তার নাম দেখে বোঝা যাচ্ছে সে মহিলা।
চারদিকে লিঙ্গবিদ্বেষী মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনার লোকজনে ভর্তি।নিজের বাড়ির মেয়েদের নিচু ভাবে রাখে সিদ্ধান্ত নিতে দেয়না কখনোই, তারা কখনোই মানতে পারেনা সমাজে মহিলা ডাক্তারবাবু ও পুরুষ ডাক্তার বাবুদের চেয়ে বেশি ভালো কাজ করতে পারে।মহিলা মানেই বেশি ভরসা করা উচিত না এরম একটা অদ্ভুত হাস্যকর মনোভাব এদের আছে।সংসারের কাজ সামলে কি মহিলারা আসলেও ডাক্তার হতে পারে ? এটাই তাদের মনের সন্দেহ….সেটা আবার এত তীব্র যে কেউ কেউ তো মহিলা ডাক্তার বাবু দেখলে " সিস্টার " "দিদি" " মাসী" এগুলো ও বলে অর্বাচীনের মত।
যাইহোক
খুব নাম যশ তৈরি হতে একটা নির্দিষ্ট সময় লাগে কিন্তু এই নাম বিচারক মানুষের জন্য আসল skillful ডাক্তারবাবুরা অসুবিধায় পরে যান। তবুও নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারেন না। বড়জোড় নামের শর্ট ফর্ম ব্যবহার করেন।
পুনঃ আমি কোনো নামের লোক কে নিচু করার জন্য এটা লিখিনি এটা আমার একটি উদাহরণ কেবল মাত্র আর ঝন্টু নাম আমার কাছে দেবতার সমান।আমার জীবনের অঙ্ক শিক্ষক তিনি।
সব থেকে বেশি করে আপনাদের এই টাই বলতে চাই যে।
নাম বিচার করে ডাক্তারের কাছে যাবেন না।সব রকম নামে সব রকম দৈহিক গঠন নিয়ে তারা সবাই আপনার সেবার জন্য তৈরি।আপনি আপনার দরকার অনুযায়ী ডাক্তারবাবু কে বেছে নিন।তার সুকৌশলী দক্ষতা অনুসারে তাকে নির্বাচন করুন।
নাম , গায়ের রং , লিঙ্গ, সামাজিক অবস্থান, ভিত্তিতে না।
সিরিয়াল দেখে মনের ভিতরে ডাক্তারদের সম্পর্কে গড়ে ওঠা চিত্র বাস্তব জগতের থেকে আলাদা একথা ভুলে যাবেন না।
সিরিয়ালের মত লম্বা গৌরবর্ণ ডাক্তারের সত্যি অভাব।
কিন্তু আমাদের ডাক্তার সমাজে সুন্দর অধ্যাবসায়ী ডাক্তারবাবুর কোন অভাব নেই। যারা নিজের নিজের ক্ষেত্রে মারাত্মক দক্ষতার ছাপ প্রতিনিয়ত রাখছেন।প্রতিনিয়ত তারা রোগীর সেবার্থে নিজের সময় মুহূর্ত উৎসর্গ করেছেন।
rahdulislam publisher