Answered 2 years ago
হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের মত টেলিগ্রামও একটি ম্যাসেজিং সার্ভিস। টেলিগ্রামের সকল ফিচার মূলত হোয়াটসঅ্যাপের মতই, মোবাইল নং দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য যাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে তাদের সাথে চ্যাট করা যাবে, অডিও ভিডিও কল করা যাবে। তবে টেলিগ্রামের বেশ কিছু সুবিধা আছে, যেমনঃ
১) টেলিগ্রামে কোনো অ্যাড নেই। মেসেঞ্জার এবং ইমো অ্যাডে ভরপুর। হোয়াটসঅ্যাপও কিছুদিন পর থেকে অ্যাড দেখানো শুরু করবে।
২) হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে টেলিগ্রামের মূল পার্থক্য মূলত প্রাইভেসিতে। টেলিগ্রামের সিক্রেট চ্যাট অপশন প্রাইভেসি রক্ষার জন্য অন্যান্য মেসেজিং সার্ভিসের চেয়ে অনেক এগিয়ে। অবশ্য সিক্রেট চ্যাট ব্যতীত হোয়াটসঅ্যাপ বেশি নিরাপদ, কারণ হোয়াটসঅ্যাপ সকল মেসেজ, কলের ক্ষেত্রে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (end-to-end encryption) ব্যবহার করে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু ফেসবুকের মালিকানাধীন তাই এসকল এনক্রিপশন সত্ত্বেও ইউজারের প্রাইভেসি কতটুকু তারা রক্ষা করা সেটা বলা মুশকিল।
৩) আপনি শুধু পিসিতেও টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুবিধাটি হোয়াটসঅ্যাপে নেই। হোয়াটসঅ্যাপের পিসির জন্য যদিও একটা ওয়েব ভার্সন আছে, তবে সেটার মাধ্যমে শুধু মেসেজ পাঠানো যায়, কল করা যায় না; এছাড়াও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু টেলিগ্রামের ডেস্কটপ অ্যাপ স্বয়ংসম্পূর্ণ।
৪) হোয়াটসঅ্যাপে সর্বোচ্চ ১০০ এমবি এর ফাইল শেয়ার করা যায়, কিন্তু টেলিগ্রামে ২ জিবি পর্যন্ত ফাইল শেয়ার করা যায়।
আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এখন পর্যন্ত টেলিগ্রামকে সবচেয়ে ভালো মেসেজিং সার্ভিস মনে হয়েছে।
Rocky Ahmed publisher