Answered 2 years ago
১)একটি পশু ক্ষুধার্ত হলে অন্য পশুর খাবার কেড়ে খায়,কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষ ট্রেনে-বাসে সহযাত্রীর খাবার কেড়ে খায় না!
২) একটি তৃষ্ণার্ত পশু সামনে নর্দমা,খাল,বিল,ডোবা ইত্যাদি যেকোনো জলাশয় থেকে জল পান করে,কিন্তু একজন তৃষ্ণার্ত মানুষ জলের বিশুদ্ধতা বিচার করে জল পান করে।
৩) একটি পশু প্রকৃতির খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়,কিন্তু মানুষ পোষাক দিয়ে দেহ আবৃত করে।
৪) পশুর মধ্যে লজ্জা নামক ভাবের উদয় হয় না,তাই তারা দেহকে অনাবৃত রাখে, কিন্তু মানুষের সেই বোধ আছে,তাই সে দেশাচার ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোষাক পরে।
৫) পশুরা(মানুষ ছাড়া সকল জীব) বিশেষ একটি ঋতুতে শুধুমাত্র সন্তান লাভের জন্য ই মিলিত হয়, বাদবাকি সময় সংযম পালন করে (মিলনের নির্দিষ্ট ছাড়া অন্য সময়ে কোনো পশু মিলিত হচ্ছে এরকম দেখাই যায় না ),কিন্তু অধিকাংশ মানুষের সেই সংযম নেই।
৬) পশুদের সমাজ নেই,অথবা থাকলেও সেখানে বৈধ অবৈধ কর্ম বলে কিছু হয় না,কিন্তু মানুষকে সামাজিক প্রাণী হিসেবে সমাজসৃষ্ট আইন মেনে চলতে হয়।
৭) পশুদের জীব প্রবৃত্তির বাইরে ধর্ম বলে কিছু নেই কিন্তু মানুষের আছে।
৮) পশুদের উত্তরাধিকারী হয় না,কিন্তু মানুষের হয়।
৯) পশুদের পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে বৈধ অবৈধ বিচার হয় না, কিন্তু মানুষের হয়।
১০) পশুদের রাষ্ট্র - আইনসভা - সংবিধান নেই, কিন্তু আধুনিক মানুষের জীবনে এগুলির স্থান ঈশ্বরের ও ওপরে( আধুনিক রাষ্ট্রে আপনি চাইলে ঈশ্বরকে মানতে নাও পারেন,কিন্তু সংবিধান ও রাষ্ট্রের আইন না মানার কোনো সুযোগ ই নেই!)
সংযম,আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বাদ ই দিলাম, কিন্তু মান ও হুঁস যুক্ত প্রাণীটির জৈবিক চাহিদা নিয়ে একটু লুকোচুরি করতেই হয়, নাহলে সে আর মানুষ থাকে না!
nasrinnahar publisher