সম্পর্কিত
জসীমউদ্দীন কে কোন অর্থে পল্লী কবি বলা হয়? জসীমউদ্দীনের কবিতার বিষয়বস্তু গ্রাম হওয়ার কারণ কী?
হাজার বছরের বাংলা কবিতার বিকাশের ধারায় কবি জসীমউদ্দীন একটি উজ্জ্বল ও বিশিষ্ট নাম। রবীন্দ্রযুগের কবি হয়েও রবীন্দ্রপ্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে পল্লীজীবনকে অবলম্বন করে জসীমউদ্দীন নির্মাণ করেছেন স্বকীয় এক কাব্যভুবন। তার সাধনায় খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। বাংলা গীতিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জসীমউদ্দীন আধুনিক দৃষ্টি দিয়ে চোখ ফেরালেন পল্লীজীবনের দিকে, পল্লীর সহজ জীবন-প্যাটার্নের দিকে, বাংলার লোকজীবনের বৃহত্তর আঙ্গিনায়_ অবারিত গ্রামীণ জনপদে তিনি খুঁজে পেলেন তার শিল্পবৃক্ষের প্রত্নবীজ। বাংলার গ্রামীণ-প্রকৃতি আর পল্লীর সাধারণ মানুষ নিয়েই গড়ে উঠেছে জসীমউদ্দীনের কবিতালোক। গ্রামীণ জীবনকেন্দ্রিক বিস্ময়কর এক কবি ভাষায় হাজার বছরের বাংলার পল্লী নতুন প্রাণ নিয়ে জেগে উঠল জসীমউদ্দীনের কবিতায়। জসীমউদ্দীনের কবিতায় যেসব মানুষের ছবি পাই, যাদের অবলম্বন করে তিনি নির্মাণ করেছেন তার কবি-আত্মার পরম আকাঙ্ক্ষার কথা, তাদের অন্যতম হচ্ছে ‘রাখাল'। জসীমউদ্দীনের কবিতায় বিচিত্র অনুষঙ্গে এবং বহুমাত্রিক পরিচয়ে রাখালের উপস্থিতি সচেতন পাঠকের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। তবু এতকাল জসীমউদ্দীনের এ রাখাল সমালোচকের দৃষ্টির অগোচরেই থেকে গেছে, ধরা পড়েনি তার রূপ আর রূপান্তরের ব্যঞ্জনা।
bivortohin publisher