Answered 2 years ago
পুতিন দুনিয়ার সবথেকে ভয়ংকর এবং প্রভাবশালী একটা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন। গ্রহের সব সর্ববৃহৎ দেশের একমাত্র অধিপতি বলা চলে এই মানুষটাকে।
অন্যদিকে, একজন অভিনেতা থেকে একটা দেশের রাষ্ট্র নেতা হয়েছেন জেলেনেস্কি। পৃথিবীর মহা শক্তিধর দেশটির সাথে পাঙ্গা নেয়ার সাহস করেছে।
অনন্য এই দুইজনকে আপনি প্রশ্নে ধুয়ে দিলেন! দুইজনকেই বাজে ভাবে বিশেষায়িত করেছেন! একজনকে কেন অন্যজন তার জাতি সহ এই দুনিয়া থেকে সাফ করে দিচ্ছে না তা নিয়েই আপনার ক্ষোভ! [কত বিচিত্র দুনিয়া]! ইতিমধ্যে যা হয়েছে তাতেই দুনিয়ার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। যুদ্ধ চড়মে গেলে আর রাশিয়া তার ক্ষমতা দেখালে দুনিয়াটা থাকে বলে মনে হয় আপনার? এখানে আপনি দুজনকে নিয়েই গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারতেন। সেই সুযোগ আপনার ছিলো।
একজন আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশীকে মাথা নত/ধ্বংস করতে। সে এখনো ঢুবে আছে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বপ্নে। কিছুতেই এর ভাঙ্গন মানতে পারছে না। দেশে প্রায় একনায়কতন্ত্র গঠন করেছে। বাকস্বাধিনতা হরণ করেছে।
অন্যজন এখনো পেছনে থাকা পরিচালকের কথায় জ্বিহ্বা, হাত-পা নাড়িয়ে যাচ্ছে। অলিক স্বপ্ন এবং শক্তির কোয়া থেকে বের হতে পারছে না। নিজের ভুল সিদ্ধান্তে সুন্দর এবং সমৃদ্ধ একটা জাতিকে বারুদে ঢুবিয়ে ফেলেছে।
প্রশ্নকর্তার প্রতি: দুনিয়াটা মারাত্মক সুন্দর, এই সুন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে সুন্দর চোখে দুনিয়াটা দেখতে হবে। যে চোখে কালা চশমা দিবে সে সব কালো দেখবে, যে লাল চশমা দেবে সে সব লাল দেখবে। আর যে খোলা চোখে দেখবে সে প্রকৃতির আপন রুপ দেখবে, দুনিয়ার কালো জগতকেও বিশ্লেষণ করার মন রাখবে। কাউকে হেয় করা বন্ধ করুন আর হটকারিতা বাদ দিয়ে সবাইকে তার নিজ স্থান থেকে দেখার চেষ্টা করুন। ভালোকে ভালো মন্দকে মন্দ বলুন। কিন্তু মানুষটাকে সম্মান করুন। দেখবেন সব সময় ভালো লাগবে। অন্যকে তার প্রাপ্য টা দেয়ার মাঝেও আনন্দ আছে।
উত্তর: ইউক্রেন এই সময়টাতে একা না। দেশটিকে বৃহত্তম অর্থনীতি এবং পরাশক্তির দেশগুলো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়টাতে পুতিন জেলেনেস্কি - ইউক্রেন ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিলে ওরা বসে থাকবে না। কারণ এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দড়াবে এবং ক্ষমতার পতন নির্দেশ করবে। তাই ওরাও পদক্ষেপ নেবে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে। এটা পুতিন চাইবে না, সে প্রচণ্ড অভিজ্ঞ এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক, যে কিনা রাজনীতি এবং সমরনীতিতে সমান জ্ঞান রাখে। আর আমরা জানি যে, দিন শেষে শেষ হাসি পুতিন-ই হাসবে। এ ব্যাপারে পুতিন যতেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
rofiqahmed publisher