Answered 2 years ago
চোখের নিচের ভাঁজ পড়া রোধ করতে
যদিও চোখের চারপাশের বলিরেখা পড়া অবশ্যম্ভাবী। তবে এই প্রক্রিয়াকে ধীর করা সম্ভব। নিচের পদ্ধতিগুলো এক্ষেত্রে কার্যকর।
ত্বকের পরিচর্যায় রাতে সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার: পাতার ওপরে ব্যবহার করা যায় এমন ময়েশ্চারাইজার ও সেরাম নির্বাচন করতে হবে। রাতে রেটিনল ব্যবহার বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমায় এবং কোলাজেন উৎপাদন করে।”
সবসময় এসপিএফ ব্যবহার: জিঙ্ক-সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ও প্রতিদিন সানগ্লাস ব্যবহার করা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার ত্বককে উন্মুক্ত ‘রেডিকেল’ থেকে সুরক্ষিত রাখে এবং বয়সের ছাপ কমায়।
ঘুমের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ: ত্বকে পরিচর্যার উপকরণ ব্যবহারের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট জীবনযাত্রা চোখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
তাই, পর্যাপ্ত ঘুম, বালিশে সিল্কের কভার ব্যবহার, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় কমানো বলিরেখা পড়া রোধ কর ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্রাশ ব্যবহার: চারপাশে শুকনা ব্রাশ দিয়ে চক্রাকারভাবে ব্রাশ করা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যা চোখের চারপাশের বলিরেখা ও ভাঁজ পড়া রোধ করতে পারে।
চোখের নিচে বলিরেখা দেখা দিলে যা করণীয়
হাইয়ালুরনিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যবহার: সঠিক উপাদান ব্যবহার করলে চোখের চারপাশের বলিরেখা দূর করা সম্ভব।
“হাইয়ালুরনিক অ্যাসিড কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের মাঝে স্ফিতভাব তৈরি করে। ফলে ত্বক মসৃণ ও টানটান হয়।”
ত্বক মসৃণ করার জন্য ‘ক্যাভিয়ার এক্সট্রাক্ট’ ও ‘রেসভেরাট্রোল’য়ের মতো মৃদু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক পুনর্নিমাণের জন্য উপকারী। যা কোলাজেন ক্ষত করে এমন জারণকে প্রতিহত করে।
“ত্বকের বলিরেখা কমাতে রেটিনল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কার্যকর।”
চোখে সুগন্ধি ক্রিম ব্যবহার না করা: চোখের চারপাশের ত্বক খুব সংবেদনশীল এবং দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি অ্যালার্জিকাতর হতে পারে। তাই এখানে সুগন্ধিজাতীয় কোনো ক্রিম ব্যবহার করা ঠিক নয়” পরামর্শ দিলেন ডা. গ্রিনফিল্ড।
তিনি আরও বলেন, “কোনো উপকরণের প্রতি যদি সংবেদনশীলতা থাকে তাহলে তা চোখে প্রকাশ পায়।”
ইঞ্জেকশন ও লেজার বলিরেখা কমাতে সহায়তা করে: “ত্বকে স্থায়ীভাবে বলিরেখা পড়ার আগে সামান্য পরিমাণে বোটক্স ব্যবহার করা যেতে পারে।”
‘ফ্রাক্সেল’য়ের মতো লেজার কোলাজেন তৈরি করতে এবং ত্বকের দৃশ্যমান বলিরেখা কমায়।
Deloar Mahmud publisher