ঘরে মাইনাস ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা তৈরির জন্য করণীয় কী?

1 Answers   4.6 K

Answered 2 years ago

কোনো বস্তুর তাপমাত্রা নির্ধারিত হয় ওই বস্তুর অণু-পরমাণুগুলো কেমন গতিতে নড়াচড়া করছে এর উপর। বাইরে থেকে তাপশক্তি দেয়া হলে এদের নড়াচড়া বা কাঁপাকাঁপি বেড়ে যায় এবং এটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, আর তাপ শোষণ করলে এর কম্পন কমে যায় এবং ঠাণ্ডা হয়ে যায়।

অর্থাৎ ঠাণ্ডা হওয়া মানে এর গাঠনিক কণাগুলোর কম্পন কমে যাওয়া, তবে একেবারে থেমে যাওয়া নয়। এভাবে তাপমাত্রা কমাতে কমাতে যদি পরম শুন্য তাপমাত্রায় পৌঁছানো যায় তাহলে সাধারণ পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী কণাগুলো একেবারেই কম্পন থামিয়ে দেবে, আর কম্পন যদি থেমেই যায় তাহলে আপনি আর তাপমাত্রা কমাতে পারবেন না। আবার আদর্শ গ্যাসের চাপ হচ্ছে তাপমাত্রার সমানুপাতিক, এটা বিবেচনা করে তাপমাত্রা কমাতে থাকলে হিসেব করে দেখা যায় পরম শুন্য তাপমাত্রায় এর চাপ শুন্য হয়ে যায়। শুন্য এর চেয়ে কম চাপ হওয়া সম্ভব না। সুতরাং এটা জানতে হলে ওই তাপমাত্রায় পৌঁছানোর দরকার হবেনা। পদার্থের ধর্ম ও পদার্থবিজ্ঞানের বর্তমান তত্ত্বগুলো বিবেচনা করে গাণিতিকভাবেই পরম শুন্য তাপমাত্রার মাণ পাওয়া যায়।

একইভাবে পরম উচ্চ তাপমাত্রাও (তাত্ত্বিক) রয়েছে। এক্ষেত্রে বস্তুর কণাগুলোর কম্পন যখন সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছায় অর্থাৎ তাত্ত্বিকভাবে এর চেয়ে বেশি শক্তি আর ধরে রাখা সম্ভব না হয় তখন ওই বস্তুর তাপমাত্রা পরম উচ্চ তাপমাত্রা বলা যেতে পারে। এর মাণ প্রায় ১৪২ ননিলিয়ন (১৪২ এর পর ৩০টি শুন্য)। আমাদের মহাবিশ্বে যেহেতু আলোর গতি সবচেয়ে বেশি, সেহেতু এই গতিতে কোনো কণা কম্পিত হলেই এই তাপমাত্রা পাওয়া যাবে। বাস্তবে এই তাপমাত্রাতেও পৌঁছানো সম্ভব না। এটা প্ল্যাঙ্ক তাপমাত্রা নামেও পরিচিত।

Nayeem Khan
Nayeem Khan
558 Points

Popular Questions