Answered 2 years ago
মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী (জন্ম ২ মে ১৯৮৯) গিয়াস উদ্দিন তাহেরি গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাপাইর গ্রাম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করেন।
এরপর তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ফাজিল ও কামিল পাস করেন। তার বাবার নাম মাওলানা নজিবউদ্দিন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার একজন আরবি শিক্ষক। আর মা মোহছেনা বেগম একজন গৃহীণি।
দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী। নরসিংদীর রায়পুরার মাস্তানগঞ্জ নামক একটি মহল্লায় খাজা বাবার দরবার নাম দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি আস্তানা গড়ে তুলেছেন তাহেরী।
প্রাথমিক শিক্ষা জীবন
গিয়াস উদ্দিন ১৯৮৯ সালের ২ শে মে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একজন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। তিনি জামেয়া আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে তাহেরী দুই সন্তানের জনক। তার ৩ মাস বয়সী ছেলে ও ৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ছেলের নাম তাওফিক রেজা ও মেয়ের নাম তাবাসসুম। সন্তানদের তিনি হাফেজ বানাতে চান ।
আমি একজন মানুষ। আমি সব সময় ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ওয়াজ করে থাকি। মানুষ মাত্রই ভুল। বিভিন্ন সময়ে আবেগের বসে অনেক কথাই বলে থাকি। কিছু মানুষ এ সব বক্তব্যকে বিকৃতি করে ভাইরাল করে। আমি ওয়াজে এমন কিছু বলি না যা কোরআন ও হাদিসের জন্য সাংঘর্ষিক। ১৭ বছর ধরে ওয়াজ করি। এ ধরনের সমস্যা কখনও হয়নি। আমি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শ্রোতা ও বক্তার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করি।আমি কোরআন ও হাদিসের সাংঘার্ষিক কোনো কিছু বলি না।
(সম্পূর্ণ লেখা ও ছবি ইনফো বিডি ডট অর্গ থেকে নেওয়া হয়েছে। লেখার লিংক—
)
এবার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশে আসা যাক, তিনি এত সমালোচিত কেনো। মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরি সাহেবের সমালোচিত হওয়ার কারণগুলো হচ্ছে-
ক. বিভিন্ন সময়ে জিকির করার নামে হাস্যরসাত্মক কিছু কান্ড করেছেন। ইন্টারনেটে সেগুলো ভাইরাল হয়। তার এই ভাইরাল ভিডিও'র আলোকে ইউটিবাররা ডিজে গান তৈরি করেন। দেশ-বিদেশের কন্টেন্ট নির্মাতারা এসব ডিজেগুলোকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেন। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অলিখিত থিম সং ছিল খেলা হবে। এই গানটায়ও তাহেরীর ডিজে'র প্রভাব আছে৷
খ. ভাইরাল জিকিরের পর তাহেরি সাহেবের একটি নাচ ভাইরাল হয়। এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার সমদ্রসৈকতের একটি ভিডিও ছিল। ওই ভিডিওতে দেখা যায় তাহেরি সাহেব ও তার সঙ্গীসাথীরা লালন সঙ্গীত পরিবেশন করছেন, সাথে নৃত্যের তাল দিচ্ছেন। এখানেও তিনি সমালোচিত হন।
গ. এভাবে ভাইরাল হওয়ার পর তাহেরি সাহেব ওয়াজ মাহফিলে তার বক্তৃতার মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু কথা বলেন যেগুলো ইউটিউবাররা ভাইরাল করে। যেমন- ঢেলে দিব, ঢেলে দেই। এসব কারণে তিনি সমালোচিত হতে থাকেন।
ঘ. এভাবে ক্রমাগত বিতর্কের মধ্যেই তাহেরি সাহেব মামলার শিকার হন। ঢাকার জনৈক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ইসলামকে বিকৃত করে উপস্থাপনের অভিযোগ এনে মামলা করেন৷ এবার তাহেরি সাহেব ভাইরাল কথাবার্তা না বলার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পান। এই মামলার পর তাহেরি সাহেবের ওয়াজ মাহফিলে প্রদানকৃত বক্তব্য অনেক পরিশীলিত হয়েছে।
তাহেরি সাহেবকে নিয়ে আমার অভিমতঃ
তাহেরি সাহেব যথেষ্ট মেধাবী। তার কন্ঠ সুন্দর। তিনি চমৎকার বক্তৃতাও দিতে পারেন। ওয়াজ-মাহফিলের ময়দানে দর্শকদের মুগ্ধ করার ক্ষমতা তার আছে। তিনি যদি বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন তাহলে অনেক দূর অগ্রসর হতে পারবেন। আশা করছি তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারে নিজেকে নিবেদিত করবেন।
fensinahar publisher